থার্টি ফার্স্ট নাইট: তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সময়ের নিয়মে আরো একটি বছরকে বিদায়ের পাশাপাশি চলছে নতুন বছর বরণের প্রস্তুতি। তবে এ বছর বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা সব স্তব্ধ করে দিয়েছে। তবুও রাজধানীতে স্বাভাবিকের তুলনায় সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে নানা অনুষ্ঠান।
তাই থেমে নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তৎপরতাও। থার্টিফার্স্ট উদযাপন ঘিরে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ছাড়াও অন্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থার্টি ফার্স্টের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন ঘিরে নগরজুড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলকা ঘিরে রয়েছে বাড়তি নজরদারি। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে র্যাবের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিবে বাহিনীটি। প্রথম পর্যায়ে অলিগলিতে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা অবস্থান নেবেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে পোশাকধারী সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তাঁদের উপস্থিতির জানান দেবেন। এর পাশাপাশি র্যাবের সাইবার মনিটরিং দল নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা, কূটনৈতিক এলাকা গুলশান, বানানী ও বারিধারা এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি। এসব এলাকায় বহিরাগত প্রবেশে রয়েছে কড়াকড়ি, নির্ধারিত সময়ের পর স্থানীয়দের প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগ জানায়, রাত ৮টা থেকে গুলশান-বারিধারা-বনানী এলাকায় প্রবেশের জন্য আমতলী ও বনানী ২৭ নম্বর সড়ক খোলা রেখে বাকি সব সড়ক বন্ধ রাখা হবে। সবকিছু কঠোরভাবে মনিটর করা হচ্ছে। রাতভর সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই থাকবে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত টিম। উঁচু ভবনগুলো থেকে নজরদারিসহ মোবাইল পেট্রোলিং, হোটেলকেন্দ্রিক বিশেষ ডিপ্লয়মেন্ট থাকবে। এছাড়া কূটনৈতিক পাড়ায় থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেউ যাতে মদ্যপান করে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেসব বিষয়েও থাকবে কঠোর নজরদারি।
থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে সম্প্রতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হল। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির যে কোনো ধরনের আশঙ্কা রোধকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বদ্ধপরিকর।