ভৈরবে এক দিনে চার খুন!

করোনা ভাইরাসের মধ্যেও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলায় একজন খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। পৃথক এসব ঘটনায় আহত হয়েছে ১১ জন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১০/১২ টি বাড়ি। 

ভৈরবে এক দিনে চার খুন!

করোনা ভাইরাসের মধ্যেও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর উপজেলায় একজন খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। পৃথক এসব ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ১০/১২ টি বাড়ি।

পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহতরা হলেন, ফারুক খানঁ, লিটন মিয়া, শরীফ মিয়া (২৫), মগবুল মিয়া (৪০) ও পাভেল (২২)। 

জানা যায়, আজ শনিবার সকালে ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গাজিরটেক এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত নামা বস্তাবন্দি এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ সনাক্ত করলে জানা যায় নিহতের নাম শরীফ মিয়া। তিনি শহরের ঘোড়াকান্দায় একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। গত ২ দিন আগে তিনি কাজে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। শনিবার সকালে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। 

এ ছাড়া উপজেলার আগানগরের লুন্দিয়া ও খলাপাড়ায় জমির ধান ভাঙানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের তিন ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খলাপাড়া গ্রামের মোতালিব মিয়ার পুত্র মকবুল ও লুন্দিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পাভেল (২২) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরো ২০ জন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তের টোল প্লাজার অদূরে মন্দিরের কাছে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফারুক খান নামে একজন নিহত হয়েছেন। সে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের খা বাড়ির সালাম খার ছেলে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন। সব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযানে মাঠে নেমেছে।

এছাড়াও কুলিয়ারচরের লালপুরে আম কুড়ানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় লিটন মিয়া (৪৫) নামে এক যুবক নিহত ও উভয় পক্ষের ১০/১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত লিটন মিয়া ওই গ্রামের আব্বাছ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।