রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রাধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন প্রাধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন। সেই সাথে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত হয়, তার জন্য সহায়তা চেয়েছেন।

বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার (রিপাবলিক অব কোরিয়া) নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়েন বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন চাইছি। উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি আশ্বাস দিয়েছেন যে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে তাঁর সরকার বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তাঁর সরকারের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষত হাইটেক পার্কগুলোতে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বড় আকারে বিনিয়োগ করতে পারে।

উত্তরে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কুয়েন আইসিটি এবং ইলেকট্রনিক্সে বাংলাদেশের সাথে চলমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, কোরিয়ান ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে (আইসিটি) বাংলাদেশের ভবিষ্যত, আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে আইসিটি বিভাগের সাথে আইটি ব্যবসা শুরু করতে এবং এখানে আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ কর্মসূচিতে কাজ করছে।

লি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনের গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন যে,কোভিড -১৯ মহামারী চলাকালীন সময়েও বাংলাদেশ তাঁর প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ শতাংশের উপরে বজায় রেখেছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।

লি আরো বলেন, বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাঁর সরকারও অংশীদার হতে চায়।