ট্রাভেলার্স ডায়েরির আয়োজনে সমুদ্র যাত্রা

ট্রাভেলার্স ডায়েরির আয়োজনে সমুদ্র যাত্রা

পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে আপনাকে স্বাগতম! আপনি যদি ভ্রমণ পিপাসু ও জীবনের নৈসর্গিক সৌন্দর্যগুলোকে উপভোগ করতে চান তো আমাদের এই নিবেদন আপনার জন্য! থার্টিফাস্ট বা বর্ষপূর্তিকে পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে মেতে উঠুন কক্সবাজারের সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে আর থার্টিফাস্ট নাইট পার্টি। 

ভ্রমণের সময়কালঃ ০৪ রাত ০৩ দিন    

ভ্রমণ বৃত্তান্তঃ ঢাকা থেকে ভ্রমণ শুরু। কলাবাগান/আরামবাগ/সায়েদাবাদ থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১০ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে  ৩ জানুয়ারী ২১ সকাল বেলা।

ভ্রমণ সূচিতে যা থাকছেঃ  ১ম দিনঃ: ঢাকা হতে রাত ১০ টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা। যাওয়ার পথে কুমিল্লা হাইওয়েতে হালকা রিফ্রেশমেন্ট সেরে মন বলাকার ডানা মেলে বাসের চাকা ঘুরে দূর্দান্ত গতিতে ছুটে যাবো কক্সবাজারের অভিমুখে। সকাল  ৯টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। এরপর  হোটেলে চেক ইন করে সকালের নাস্তা সেরে টুরিস্ট দল চলে যাবো পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের বিচে। দুপুরে খাবার সেরে হালকা বিশ্রামের পর বিকেলে বীচের উত্তাল ঢেউয়ের তালে মেতে উঠবে সবার প্রাণ। এরপর ভ্রমণসঙ্গীদের জন্য অপেক্ষা করবে চির স্মরণীয় “থার্টিফাস্ট নাইট” নাচ, গান, ডিজে পার্টি আর বার-বি-কিউ!  কি নেই সেই পার্টিতে?  

থার্টিফাস্ট পার্টি নাইট ডিনারঃ স্পেশাল বার-বি-কিউ, রুটি এবং কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি।

২য় দিন: রাতের পার্টি শেষে আপনি কি খেয়াল করেছেন আপনি পুরো একটি বছর কাটিয়ে সোজা ২০২১ শে প্রবেশ করছেন? সকালের নাস্তা সেরে যার যার মতো ঘুরে আসতে পারেন বামে পাহাড় আর ডানে নীল সমুদ্রের বুক চিরে ছুটে চলা “মেরিন ড্রাইভ” এর মসৃণ পিচ ঢালা পথ! দুপুরে লাঞ্চ এবং বিকেলে ঘুরে আসতে পারেন রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড৷ এরপর, বিচের আশেপাশে চেখে দেখতে পারেন পছন্দমতো লবস্টার, কাকড়া কিংবা নানা পদের সাজিয়ে রাখা খাবারের পশরা।  তবে এই মধু মহেন্দ্রে বীচের ধারে সাজিয়ে রাখা সামুদ্রিক মাছের স্বাদ পরখ করতে নিশ্চয়ই  কারো কার্পণ্য থাকার কথা নয়? নতুন বছরের প্রথম সন্ধ্যায় গোধুলী লগ্নের অস্তমিত সূর্য নিশ্চয় যে কারো মনকে আন্দোলিত করে। সেখানে যদি সাথে যোগ হয় উত্তাল সমুদ্রের জলরাশির শো শো গর্জন আর ক্যামেরা ক্লিক করে দিতে জীবনের সেরা কোন মহুর্ত। সেখানেই উঠতে পারে আপনার জীবনের সেরা ছবিগুলো একটি।   রাতে গ্রুপ ডিনার এবং হোটেলে অবস্থান।

৩য় দিন: শুভ সকাল! আজকের সকালটি আপনার ও আপনার পরিবার পরিজনের জন্য। সকালের নাস্তা সেরে বীচের ধারে ঘুরে আসতে পারেন। সকাল ১১ টায় চেক আউট করে আপনার ব্যাগেজ/লাগেজ হোটেলের লবিতে জমা রাখতে পারেন। দুপুরের লাঞ্চ সেরে ঘুরে আসুন সুটকি পল্লী বা বার্মিজ মার্কেট । পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধুদের জন্য কিনে নিতে পারেন কক্সবাজারের বিখ্যাত সুঁটকি, আচার, বার্মিজ স্যান্ডেল, হ্যাট, হস্তশিল্পসহ নানান রকমের পছন্দের কোন  সুন্দর জিনিস। শেষ প্রহরে বিদায় বেলা বিরহের সূর বেজে উঠার সাথে সাথে  বাসের হর্নের বিউগল বেঁজে উঠবে। সেইসাথে মন গুগগুনিয়ে গেয়ে উঠবে, 'বন্ধু এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো, আবার দেখা হবে নিশ্চয়!'  

৪র্থ দিনঃ ভোরে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে  ঢাকায় পৌঁছে যাবে ভ্রমণকারী দল। 
 
যেভাবে ভ্রমণ সঙ্গী হতে পারেনঃ বছরের সেরা অফারটি বুঝে নিন আমাদের নিকট থেকে
* ৫৭০০ টাকা/ জনপ্রতি (০৪ জন শেয়ার ) নন এসি।  
* ৬৫০০ টাকা/ জনপ্রতি (০২ জন শেয়ার) নন এসি।
*৬৯৫০  টাকা/ জনপ্রতি (৪ শেয়ার এসি রুম)।
*৭৯৫০ টাকা/ জনপ্রতি (০২ শেয়ার এসি রুম)। 

আসন সংখ্যা সীমিত তাই এখনি বুকিং করুন!

প্যাকেজটি নিশ্চিত করতে যোগাযোগঃ 
01968 33 44 22
01872 608940
 01872 608945

বুকিংয়ের নিয়ম: 
বুকিং মানিঃ প্যাকেজ মূল্যের ৫০% টাকা পাঠাতে হবে(বিকাশ চার্জসহ) জনপ্রতি। বুকিং চার্জ দেওয়ার পর আপনার বাসের আসন বুঝে নিন।

বুকিং দেওয়ার পদ্ধতিঃ
১. সরাসরি অফিসে এসে বুকিং মানি জমা দেয়া যাবে।
২. বিকাশের মাধ্যমে।  
৩. সরাসরি ব্যাংক ডিপোজিট করে বুকিং করা যাবে।


সাথে যা রাখবেনঃ  
টুপি, জুতা, লিপজেল, কোল্ড ক্রিম, গরম কাপড়চোপড়, বাইনোকুলার, ক্যামেরা, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, সাবান, জরুরী ঔষধ, ফ্ল্যাশলাইট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইত্যাদি।  

আমাদের কমিটমেন্টঃ ট্যুরে উল্লেখিত সকল সেবাই প্রদান করা হবে। ব্যক্তিগত কেনাকাটা নিজ খরচে করতে হবে। কোন  ব্যতীত হিডেন চার্জ নাই।


প্যাকেজ অন্তর্ভুক্ত নয়ঃ
সকল প্রকার ব্যাক্তিগত খরচ,ব্যক্তিগত ঔষধ পত্র/তৈজসপত্র, সফট বা হার্ড ড্রিংস, ক্যামেরা এন্ট্রি ফি,টিপ্স/ব্যক্তিগত সেবার খরচ ইত্যাদি। 

স্বাস্থ্য নির্দেশনাঃ 
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল স্বাস্থ্য বিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রত্যেকেই নিজস্ব মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গ্ল্যাভস ইত্যাদি সাথে রাখবেন। 


ট্রাভেলার্স ডায়েরির অনুরোধঃ 
ভ্রমণ পিয়াসু মানুষরা মানসিক প্রশান্তির খোঁজে কক্সবাজারে ছুটে যায়। কক্সবাজার আমাদের প্রাচুর্য্য/সম্পদ। আমাদের এই বিশাল প্রাচুর্য ভরা সমুদ্রে কোনো প্রকার পরিবেশ দূষণ, প্লাস্টিক পণ্য/বর্জ্য সমুদ্র ও এর আশেপাশে না ফেলানোর অনুরোধ করা হল। সেই সাথে  উচ্চস্বরে মিউজিক বাজিয়ে শব্দ দূষণ থেকে বিরত থাকবেন। প্রকৃতির এই বিশাল ভান্ডার উপভোগ করার, সবার শান্তিময় ভ্রমণ কামনায় আমরা 'ট্রাভেলার্স ডায়েরি' পরিবার।