অনিশ্চিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক

সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করায় দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে আলোচনা চলছিল তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের মধ্যস্থতায় ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে গেছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অনিশ্চিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক

সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করায় দেশটির সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে আলোচনা চলছিল তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের মধ্যস্থতায় ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে গেছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সম্প্রতি ক্ষমতার যে রদবদল হয়েছে তাতে দেশটির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হবে না। কারণ দেশটিতে ৬০-৭০ বছরের মধ্যে অধিকাংশ সময়ে সেনা শাসিত ছিল তখনও বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে কাজ করেছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, আমি জানতে পেরেছি মিয়ানমারের ক্যাবিনেট ভেঙে ১১জনকে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আমার মনে হয় তাদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দেওয়া দরকার। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকটি আগেই নির্ধারণ ছিল। তবে বর্তমান পরিপেক্ষিতে বৈঠকটি এগিয়ে আনা হয়েছে। আমরা আমাদের জাতিসংঘে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বৈঠকে সম্প্রতি ইস্যুটিতে যেন রোহিঙ্গা ইস্যু চাপা পরে না যায়।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের কারো সঙ্গে কথা না হলেও বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের এ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে আমরা আমাদের স্বার্থ দেখে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলব। মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কি অবস্থা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের যোগাযোগ হয়েছে। আমরা তার সঙ্গে মেইলে চিঠি আদান প্রদান করেছি।