আ’লীগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে কুপ্রস্তাব এবং পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিশেষে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর ধর্ষণের অভিযোগ করে মেয়রের কাছে বিচার চাইলেন ভুক্তভোগী নারী। ইতোমধ্যে উত্তর সিটি মেয়রের কাছে সোমবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ওই নারী।

আ’লীগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে কুপ্রস্তাব এবং পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরিশেষে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর ধর্ষণের অভিযোগ করে মেয়রের কাছে বিচার চাইলেন ভুক্তভোগী নারী। ইতোমধ্যে উত্তর সিটি মেয়রের কাছে সোমবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেন ওই নারী।

অভিযুক্ত হলেন- যুবলীগ নেতা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক।

ভুক্তভোগী নারী জানান, স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের কাছে সালিশ নিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে কৌশলে তার সংসার ভাঙেন কাউন্সিলর মানিক। এরপর তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেন ওই কাউন্সিলর। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরবর্তীতে বিয়ের আশ্বাস দেন। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়।

এক সময় বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন কাউন্সিলর মানিক। পরবর্তীতে দিশেহারা হয়ে বিচারের জন্য প্রভাবশালী নেতাদের দ্বারস্ত হন ওই নারী।

প্রভাবশালী হওয়ায় কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে কেউ সারা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী নারী জানান, ওই ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ও স্বজনদের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্যদের দেয়া আর্থিক সাহায্যে জীবনযাপন করছেন। কাউন্সিলর মানিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওই ভুক্তভোগী নারী।

অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মানিক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আগে তার প্রতিপক্ষ ওই নারীকে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছিল। সে অন্যের প্ররোচনায় এসব করছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস