এক সন্তানের সৎকার শেষ হতে না হতেই বাবার কাঁধে অন্য সন্তানের লাশ

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা। হাসপাতাল, শ্মশান ও কবরস্থান থেকে প্রতিদিনই মর্মান্তিক দৃশ্য উঠে আসছে। তার মধ্যেই গ্রেটার নয়ডায় ২৪ ঘণ্টায় দুই ছেলেকেই হারালেন এক প্রবীণ দম্পতি। বুধবার (১২ মে) প্রথম ছেলেকে দাহ করে বাড়িতে ফিরতেই দ্বিতীয় ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখলেন তারা।

এক সন্তানের সৎকার শেষ হতে না হতেই বাবার কাঁধে অন্য সন্তানের লাশ

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। দেশটিতে প্রতিদিনই লম্বা হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা। হাসপাতাল, শ্মশান ও কবরস্থান থেকে প্রতিদিনই মর্মান্তিক দৃশ্য উঠে আসছে। তার মধ্যেই গ্রেটার নয়ডায় ২৪ ঘণ্টায় দুই ছেলেকেই হারালেন এক প্রবীণ দম্পতি। বুধবার (১২ মে) প্রথম ছেলেকে দাহ করে বাড়িতে ফিরতেই দ্বিতীয় ছেলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখলেন তারা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দিল্লি সংলগ্ন গ্রেটার নয়ডার জালালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন সকালে ওই গ্রামের বাসিন্দা আতার সিংহের ছেলে পঙ্কজের মৃত্যু হয়। বেশকিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পঙ্কজ। বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা পঙ্কজের সৎকার করতে যান।

আতার সিংহের আরেক ছেলে দীপকও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাই ভাইয়ের সৎকারে না গিয়ে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। কিন্তু পঙ্কজের সৎকার সেরে আতার বাড়ি ফিরে দেখেন দীপকের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে দুই ছেলের মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ আতার সিংহ ও তার স্ত্রী। শোকের ছায়া নেমেছে পুরো গ্রামেও।

তবে পঙ্কজ এবং দীপক বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কি-না তা নিশ্চিত জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানায়, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে ওই গ্রামে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার শরীরেই জ্বর ছিল। শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন অনেকে। কিন্তু শহরের দিকে যে হারে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে, গ্রামের দিকে এখনও তা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তারা। তাই এই দুই ভাই করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন কি-না জানা যায়নি।