এসএমএস ছাড়াই নেওয়া যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের প্রথম ডোজ টিকা দীর্ঘদিন পূর্বে গ্রহণকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য এসএমএসের অপেক্ষার দরকার নেই।

এসএমএস ছাড়াই নেওয়া যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের প্রথম ডোজ টিকা দীর্ঘদিন পূর্বে গ্রহণকারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য এসএমএসের অপেক্ষার দরকার নেই।

সোমবার (২৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম(এমআইএস) এক জরুরি ঘোষণায় এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়েছে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন, তারা নিকটবর্তী কেন্দ্রে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করুন।

এমআইএসের পরিচালক ও এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য (নাগরিকদের) এসএমএস পাওয়ার কথা। যদি নাও পায় তাহলেও কেন্দ্রে যাবে। টিকা কার্ডটা নিয়ে গিয়ে বলতে হবে ফার্স্ট ডোজ নিয়েছি। তাহলেও টিকাদান কর্মীরা টিকা দিয়ে দেবে।

দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তির পর দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যায়। এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আরও ৩২ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।

এরপর ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ বেকায়দায় পড়ে। ফলে টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম ডোজ দেওয়া ২৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দিতে হয়।  একপর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়াও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সিনোফার্মের টিকা আসার পর দ্বিতীয় দফায় টিকাদান কার্যক্রম আবার চালু হয় গত ১৯ জুন। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেওয়া ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ থেকে বাদ পড়েছিলেন।

কোভ্যাক্স সহায়তায় ২৪ জুলাই জাপান থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ এবং ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ, ৬ আগস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ এবং ২১ আগস্ট ৭ লাখ ৮১ হাজার ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা দেশে এসেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২২ আগস্ট পর্যন্ত দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯১ এবং নারী ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১৩১ জন।

এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৩২ লাখ ৫২ হাজার ১৮৩ এবং নারী ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৬ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ১২ হাজার ৭০৮ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৫ জন।

এদিকে, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত করোনার টিকা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন আরও ৪ লাখ ১২ হাজার ১৭৪ জন। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার ১০ জন টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। এ সময় পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৫ ডোজ টিকা বিতরণ করা হয়েছে।

প্রকৌশলনিউজ/সু