করোনায় ৩৭ মৃত্যুতেও সুস্থতার হার বেশী

করোনায় ৩৭ মৃত্যুতেও সুস্থতার হার বেশী

দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ২৬৩ তম দিনে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।গতকাল যা ছিল ৮১ দশমিক ২৯ শতাংশ। নতুন মৃত্যু ৩৭ জনের। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯২ জন। এসময় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৭৪ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। 

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ হাজার ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকার।

শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল।

এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। 

একপর্যায়ে দৈনিক রোগী শনাক্তের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল।

তবে চলতি নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে শনাক্তের হারে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়।

পাঁচ দিন ধরে পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের মতো। গত ১১ দিনের মধ্যে ১০ দিনই প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, টিকা আসার আগপর্যন্ত নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের মূল উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মাস্ক পরা, কিছু সময় পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।