কলাপাতায় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

সকাল, বিকাল, রাতে নাস্তা কিংবা ভরপেট, স্টিলের থালা বা কাচের প্লেটেই খাওয়ার অভ্যাস আমাদের। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কিছু অভ্যাস হয়তো অস্বাভাবিক হলেও বদলাতে হয়। তাহলে আর দেরি না করে বদলে ফেলুন অভ্যাস, ফিরিয়ে আনুন পুরনো রীতি। কলাপাতায় খান। তাতে অনেক বিপদজনক রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষবে না

কলাপাতায় খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

গ্রামীণ পরিবেশে আগেকার দিনে ছোট-বড় অনুষ্ঠানে মুখরোচক খাবার খাওয়া হতো কলাপাতায়। বলতে গেলে এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও ছিল না তখন। কালের বিবর্তনে সেই কলাপাতার সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে সিরামিক, স্টিল এবং কাচের প্লেট। কিন্তু সেই কলাপাতায় খাওয়া যে কত উপকার সেটা এই আধুনিক যুগে জানাচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

সকাল, বিকাল, রাতে নাস্তা কিংবা ভরপেট, স্টিলের থালা বা কাচের প্লেটেই খাওয়ার অভ্যাস আমাদের। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কিছু অভ্যাস হয়তো অস্বাভাবিক হলেও বদলাতে হয়। তাহলে আর দেরি না করে বদলে ফেলুন অভ্যাস, ফিরিয়ে আনুন পুরনো রীতি। কলাপাতায় খান। তাতে অনেক বিপদজনক রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।

ভারতীয় চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, কলাপাতার রসে রয়েছে প্রচুর গুণ। আর সেই রস খাবারের সঙ্গে মিশলে ভরপুর পুষ্টি পৌঁছবে আপনার শরীরে। এর জন্য আপনাকে করতে হবে না বাড়তি কোনো পরিশ্রম।

কলাপাতার রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিন। টনিকের কাজ করে এই রস। তাই বলে কলাপাতার রস সরাসরি খাওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধুমাত্র, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার কলাপাতায় খেলেই শরীরে অনেকটা কার্যকর হবে এসব পুষ্টিগুণ। 

তার মানে এই নয় যে আপনাকে প্রতিবেলায় কলাপাতায় খেতে হবে। দিনের একটা বা দুটো সময়ের খাবার খাওয়ার সময় কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কলাপাতায় খেলে পেটের যাবতীয় রোগ এবং সেখান থকে জ্বর সর্দি, পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে আপনার। যার উপকারিতা পাচ্ছেন দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। 

সেখানকার এক গবেষণা বলছে, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসে আশ্চর্য উপকার কলাপাতার রস। কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লিভারের সমস্যা কমায়। ব্লাড প্রেশার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। টিবি, আন্ত্রিকের মতো রোগেও ভাল করতে কাজ করে কলাপাতার রস। 

স্বাস্থ্যকর কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে পুষ্টি জোগায়। ফ্লেভার কলাপাতার গায়ে মোমের মতো একটা আবরণ থাকে। চমত্কার একটা ফ্লেভার থাকে। খাবারের সঙ্গে মিশে খাবারকে আরও টেস্টি করে তোলে।

ইকো-ফ্রেন্ডলি প্লাস্টিক বা কাগজের প্লেটের চেয়ে কলাপাতা অনেক বেশি ইকো-ফ্রেন্ডলি। ব্যবহারের পর খুব অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়ার আগে কলাপাতা খুব বেশি ধোয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প একটু পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই খাওয়া যায় তাতে।