কৃষিযন্ত্র কেনায় সহজ শর্তে ঋণ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘অঞ্চলভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভর্তুকি দেওয়ার পরও একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা কৃষককে দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কৃষক যন্ত্র কিনতে পারেন না। অন্যান্য কৃষিযন্ত্রের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটে। সেজন্য, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যাতে কৃষকেরা কৃষিযন্ত্র কেনায় সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

কৃষিযন্ত্র কেনায় সহজ শর্তে ঋণ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
ফাইল ছবি

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘অঞ্চলভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভর্তুকি দেওয়ার পরও একটি কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা কৃষককে দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কৃষক যন্ত্র কিনতে পারেন না। অন্যান্য কৃষিযন্ত্রের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটে। সেজন্য, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যাতে কৃষকেরা কৃষিযন্ত্র কেনায় সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারেন, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার অনলাইনে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

এ সময় ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো পর্যায়ক্রমে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করা। বর্তমানে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তা আমরা কমিয়ে আনতে চাই। এ ছাড়া, স্থানীয়ভাবে খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামত কারখানা তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে করে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।’ এ বিষয়ে কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী, নির্মাতা ও আমদানিকারকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সভায় কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী ও আমদানিকারকেরা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে তাদের জন্য ব্যাংক ঋণ, কৃষকের জন্য ঋণ ও গ্রামের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কৃষিযন্ত্র বিতরণের আওতায় আনার দাবি জানান।

কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। তিন হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হলো তার অনন্য উদাহরণ। এটি সারা বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষিতে নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। দেশে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটবে। কৃষি লাভজনক হবে ও গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহসহ অন্যান্য সংস্থার প্রধানেরা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের পরিচালক বেনজীর আলম এবং কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী, নির্মাতা ও আমদানিকারকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৌশলনিউজ/এসএআই