ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মোদী বিরোধী মিছিলে হামলার অভিযোগ

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন সাংবাদিকসহ অন্তত ২৩ জন আহত হন।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মোদী বিরোধী মিছিলে হামলার অভিযোগ

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন সাংবাদিকসহ অন্তত ২৩ জন আহত হন।

জানা যায়, টিএসসি থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহীদ মিনার, পলাশী, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসির দিকে গেলে ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়ে। পরে বিক্ষোভকারীরা স্মৃতি চিরন্তনের (ভিসি চত্বর) সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ তখন মিছিল নিয়ে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিলটি ঢাবির আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সামনে ছাত্রলীগের মুখোমুখি হয়। সেখানে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে বিক্ষোভকারীরা পিছু হটে ভিসি চত্বরের দিকে যায়। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ ভিসি চত্বরে গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশ, লাঠি, কাঠ, গাছের ডাল ছিল। তারা তখন খুঁজে খুঁজে বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা ভেবে নিজেদেরই এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেয় ছাত্রলীগের হামলাকারীরা।

এছাড়া, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদারের ওপর হামলা করলে তার মাথা ফেটে যায়। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে অবস্থান করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।

হামলার বিষয়ে ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ওপর ভিসি চত্বরে মিছিল নিয়ে এসে ব্যাপক হামলা করে। এতে আমাদের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের কোন মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।