ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের সন্তোষ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে মঙ্গলবার। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে এই বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে চীন। এই বৈঠকের পর বাংলাদেশ নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশা দেখছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।

ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনের সন্তোষ

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে মঙ্গলবার। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে এই বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছে চীন। এই বৈঠকের পর বাংলাদেশ নতুন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশা দেখছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে।

ঢাকার চীনা দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মঙ্গলবারের এ ত্রিপক্ষীয় ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, চীনের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লুও ঝাওহুই ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব হাও দো সোয়ান।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লুও ঝাওহুই অংশ নেন। বৈঠকে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  

লুও ঝাওহুই বলেন, ২০১৭ সাল থেকে চীন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করছে। চীন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে এ সংকট দ্বিপক্ষীয়ভাবেই সমাধানে জোর দিয়ে আসছে। তবে চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এ সংকট জটিল করার পরিবর্তে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা উচিত।

এর আগে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক সামনে রেখে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত সোমবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সাক্ষতে রোহিঙ্গা ইস্যু ও আসন্ন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন তারা। রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধান ও এই অঞ্চলে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান লি জিমিং।