নগর স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রয়াস

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শুরু হওয়া উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আশির দশক থেকে এদেশে নগরায়ণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় সেটি দ্রুত নগরায়ণের সাথে সাথে নগরবাসী নিত্যনতুন দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। কিন্ত সেসব দুর্যোগ যেমন: অগ্নিকান্ড, ভবনধ্বস, জলাবদ্ধতা, রাসায়নিক বিস্ফোরণ ইত্যাদির সম্মুখীন হচ্ছে যা মোকাবেলায় এখনও শহরের মানুষ অভ্যস্ত নয়। এ কারণে শহরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যে কোন নগর দুর্যোগে প্রাথমিক ও তাৎক্ষনিক সাড়া প্রদানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।

নগর স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রয়াস

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শুরু হওয়া উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আশির দশক থেকে এদেশে নগরায়ণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় সেটি দ্রুত নগরায়ণের সাথে সাথে নগরবাসী নিত্যনতুন দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। কিন্ত সেসব দুর্যোগ যেমন: অগ্নিকান্ড, ভবনধ্বস, জলাবদ্ধতা, রাসায়নিক বিস্ফোরণ ইত্যাদির সম্মুখীন হচ্ছে যা মোকাবেলায় এখনও শহরের মানুষ অভ্যস্ত নয়। এ কারণে শহরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যে কোন নগর দুর্যোগে প্রাথমিক ও তাৎক্ষনিক সাড়া প্রদানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।

নগরের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম করে গড়ে তুলতে সেভ দ্য চিলড্রেনের এর কারিগরি সহায়তায় প্রয়াস-২ নগর দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সোশ্যাল এন্ড ইকোনোমিক প্রোগ্রাম-সিপ। প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে নগর সেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামুলক সভার মাধ্যমে তাদের স্বতঃস্ফর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে করে তারা যেকোনো দুর্যোগে প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে ভুমিকা পালন করতে পারে।

শহরের দুর্যোগ ঝুঁকি কমিয়ে আনতে ও স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ৫ নং ওয়ার্ডের নগর স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে ঢাকার মিরপুরে-১০ এ অবস্থিত বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কার্যালয়ে একটি সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অগ্নি দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ সভার আয়োজন করা হয়। ফায়ার সার্ভিস তথ্য মতে, দেশে মোট অগ্নিকান্ডের ৭২ শতাংশই ঘটে বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলা থেকে লাগা আগুন এবং সিগারেটের আগুন এর মাধ্যমে। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, অগ্নি দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ একদিকে যেমন স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে অন্যদিকে যেকোনো অগ্নি দুর্ঘটনায় তারা ফায়ার সার্ভিসের সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারবে। 

উল্লেখ্য যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ এ নগর স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকা ও গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার ৬২,০০০ নগর স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রয়াস-২ প্রকল্প ৬০০ জন নগর স্বেচ্ছাসেবী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে