নাট্যকার মান্নান হীরা আর নেই

বাংলা নাটকের জনপ্রিয় নাট্যকার মান্নান হীরা মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় অসুস্থতা অনুভব করলে তাঁকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাত আটটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মান্নান হীরা দীর্ঘদিন যাবত জটিল রোগে ভুগছিলেন।

নাট্যকার মান্নান হীরা আর নেই
মান্নান হীরা

বাংলা নাটকের জনপ্রিয় নাট্যকার মান্নান হীরা মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় অসুস্থতা অনুভব করলে তাঁকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাত আটটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মান্নান হীরা দীর্ঘদিন যাবত জটিল রোগে ভুগছিলেন।

মান্নান হীরা পথনাটকের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তাঁর নাটকের  প্রধান উপাদান নিরন্ন মানুষ ও দরিদ্র জনপদ। বিশেষ করে তার পথনাটক বিশাল কৃষিজীবী মানুষ, তাদের উৎপাদন ও উপকরণ কেন্দ্র করে লেখা। ২০০৬ সালে তিনি নাটক শ্রেণিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

আরণ্যক নাট্যদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মান্নান হীরা। মান্নান হীরা রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে আছে ‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘ফেরারী নিশান’, ‘আদাব’, ‘ঘুমের মানুষ’ ‘মৃগনাভি’, ‘শেকল’, ‘জননী বীরাঙ্গনা’, ‘মণিমুক্তা’, ‘একাত্তরের রাজকন্যা’, ‘মেহেরজান, ‘ফুটপাত’, ‘রেফারী’, ‘বাংলার বাদশা’, ‘সুখদৈত্য’, ‘লাল জমিন’ প্রভৃতি। ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন মান্নান হীরা। তার আগে মান্নান হীরা ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি পরিচালনা করেন।