পরিবহনে শৃঙ্খলা না ফিরলে সড়কের উন্নয়ন কাজে আসবেনা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহনে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে ততদিন যতই উন্নয়ন কাজ হোক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না।

পরিবহনে শৃঙ্খলা না ফিরলে সড়কের উন্নয়ন কাজে আসবেনা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবহনে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে ততদিন যতই উন্নয়ন কাজ হোক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সালেহপুর সেতুর চার লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

সড়ক ও পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়কগুলোতে সৌন্দর্য রক্ষায় অনতিবিলম্বে ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে। গুণগতমান বজায় রেখে সড়কের নির্মাণ কাজ করতে হবে। যেসব কাজ চলছে সেগুলো বর্ষার আগেই শেষ করতে হবে।

রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ করতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো।

আন্দোলন হবে কোন বছর বিএনপি নেতাদের কাছে এমন প্রশ্নও করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী।

বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং সরকার পতনকেই নিজেদের কৌশল হিসেবে নিয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের, জনগণও এখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান, দলীয় নেত্রীর মুক্তির জন্য তাদের আগ্রহ যতটা না বেশি, তার চেয়ে বেশি আগ্রহ সরকার বিরোধিতায়।

বিএনপি নেতারা কি চায়, তা জনগণও জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ঘোষণা করেছে। এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়।

বিএনপি নেতারা  বলছেন সংগঠনকে গুছিয়ে তারপর আন্দোলনে নামবে, এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন,  জনগণ এখন  বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু। তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরুলো, কর্মীরাও হতাশ। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে অপরাজনীতি এবং ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে বিনিয়োগ না করে জনসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধীদল হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন। খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কাছে নয়, ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তাহলে আগুন সন্ত্রাস আর নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত