বইমেলা নিয়ে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রস্তাব

বইমেলা নিয়ে সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রস্তাব
বইমেলার ছবি

২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে সামনে রেখে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমিকে নয় দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই প্রস্তাব তুলে দেন।

এ সময় অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। সমিতির পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর কাছে করোনাকাল বিবেচনায় এবং মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বইমেলা আয়োজনে বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়।

জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে করোনাকালে  সরাসরি সরকারি প্রণোদনার অংশ হিসেবে ন্যূনতম ভাড়ায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া, বইমেলা মাঝপথে কোনোভাবেই বন্ধ না করা, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সদস্য প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে মেলায় নিতে না পারে, সীমিত সংখ্যক স্টল বরাদ্দ দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বইমেলার আয়োজনের ব্যবস্থা করা, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্পন্সরের মাধ্যমে একই রকম সাজসজ্জার স্টল তৈরি করে সকল অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল বরাদ্দ প্রদান।

প্রস্তাবের মধ্যে আরো রয়েছে স্বাস্থ্যবিধির কথা বিবেচনা করে একাধিক সুদৃশ্য ও বড় আকারের প্রবেশ ও বের হওয়া পথ রাখা, সার্বক্ষণিক একটি টিমের তত্ত্বাবধানে বইমেলার সার্বিক স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা রাখা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকে গাড়ি প্রবেশ এবং পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিক দিয়ে মেলায় প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে খাবারের স্টল না রাখা, ধুলাবালিমুক্ত রাখার জন্য স্টলসহ পুরো মেলা চত্বরে স্টল বরাদ্দের আগে ইট বিছানো, ২০২০ সালের বইমেলায় নীতিমালা ভঙ্গকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে এ বছরের বইমেলায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত রাখা এবং শিশু চত্বরে শিশুতোষ বই প্রদর্শন ও বিক্রির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মেলায় অংশ নেওয়ার নীতিমালা বাস্তবায়ন করা।