বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫ বছরের কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা প্রকাশ

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যত দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৫ বছরের কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা প্রকাশ

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের ভবিষ্যত দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে কর্ম পরিকল্পনা উদ্বোধন করা হয়।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলার পাশাপাশি সব ধরণের দুর্যোগে সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার একটি নাম বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। আগামী দিনে সোসাইটির কার্যক্রমকে বেগবান ও সময়োপযোগী করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি নিয়মিতভাবে তাদের কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব, সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর-উর-রহমান, সোসাইটর মহাসচিব মোঃ ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রণালয় এর অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মাদ নাসিম এনডিসি, তুর্কীশ দুতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি মিস গাইজেন আইদিন ইরডেম ও আইএফআরসি’ র হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলী। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধি, বিডিআরসিএস  বিভিন্নবিভাগের পরিচালক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, “এই কৌশলটি আমাদের অতীত থেকে শেখার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের চাহিদা, প্রবণতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গতিশীলতাও বিবেচনা করেছে। আমাদের দৃষ্টি এবং মিশন আইএফআরসি কৌশল ২০৩০ এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। আমাদের কৌশলগত কর্ম পরিকল্পনা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অবদান রাখতে চায়।” তিনি আরও বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বন্য, ঘূর্ণিঝড় এবং নদী ভাঙ্গন, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত সংকট, শহুরে বহু বিপত্তি, অভ্যন্তরীণ এবং বহিরাগত অভিবাসন এবং স্থানচ্যুতি এই ৬ টি মানবিক চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে।” 

সোসাইটির মহাসচিব মোঃ ফিরোজ সালাহউদ্দিন বলেন, “গত ২০ বছর ধরে বিডিআরসিএস চার থেকে পাঁচ বছরের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। বিডিআরসিএস ষষ্ঠ কৌশলগত পরিকল্পনার দ্বারা মানসম্মত সেবার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী জাতীয় সমাজ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা জাতীয় সদর দফতরের চলমান মানবিক কর্ম ও চর্চার পাশাপাশি, জনসাধারণের কাছে মানবিক সহযোগিতা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সুনাম ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো, মানবিক সেবাগুলোর সম্প্রসারণ এবং বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি প্রদান সহ বিডিআরসিএস ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি ইউনিটের আওতাধীন জনসংখ্যার নূন্যতম ০.৫% মানুষকে আজীবন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা, ইউনিটের মৌলিক ব্যয় নির্ণয় করা, স্থানীয় উৎস থেকে আয় বৃদ্ধি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সেসব ব্যয়ভার বহন করা এবং সর্বোপরি নিজ নিজ ইউনিটকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সকল পর্যায়ে কাজের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আরো বৃদ্ধি  করার লক্ষ্যে বিডিআরসিএস এর ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এবং ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।