বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ গুন বেশি ধর্ষণ

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডটকম নামে একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘রেপ স্ট্যাটিসটিক বাই কান্ট্রি ২০২০’ শীর্ষক সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেছেন,  বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ ৯ গুণ বেশি।  তিনি বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ধর্ষণ হয়েছে ৯ হাজার আর যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ হয়েছে ৮৪ হাজার ৭৬৭ জন। কিন্তু আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন তাহলে শিরোনামে বাংলাদেশ চলে আসছে। 

বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ গুন বেশি ধর্ষণ

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডটকম নামে একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘রেপ স্ট্যাটিসটিক বাই কান্ট্রি ২০২০’ শীর্ষক সমীক্ষার উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ ৯ গুণ বেশি।  তিনি বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশে ধর্ষণ হয়েছে ৯ হাজার আর যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণ হয়েছে ৮৪ হাজার ৭৬৭ জন। কিন্তু আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন তাহলে শিরোনামে বাংলাদেশ চলে আসছে।

রোববার দুপুরে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত ফ্রন্টলাইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এতে এক ওয়েবিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এতে আবদুল মোমেন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মহামারির সময়ে সাংবাদিকরা করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। গত বছর কিছু সময়ের জন্য সরকার মানুষজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময়েও সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

তিনি বলেন, নতুন প্রশাসন আমেরিকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। এ প্রশাসনের অধীনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অনন্য উচ্চতার পৌঁছবে বলে আশা করছি। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকটি ইঙ্গিত পেয়েছি। নতুন সরকারপ্রধান প্যারিস চুক্তিতে পুনরায় যোগদান করেছে এবং বর্তমানে মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করার চিন্তাভাবনা করছেন। আমরা নতুন প্রশাসনকে স্বাগত জানাই এবং তাদের উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক দৃঢ়। যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা সাংবাদিকদের মানোন্নয়নে আগ্রহী। করোনার এই সময়ে ফ্রন্টলাইনে থেকে কাজ করা সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জের ছিল। তাদের স্বীকৃতি দেয়ায় অ্যামচেমকে ধন্যবাদ জানাই। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদনকে এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়। পত্রিকা, অনলাইন, টেলিভিশন মিলিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। সেগুলোর মধ্য থেকে বিচারকদের রায়ে ৩০টি গণমাধ্যমের ৩২ জন সাংবাদিককে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।