বাইডেনের ঈদের দাওয়াতে যাচ্ছেন না মুসলিম নেতারা

বাইডেনের ঈদের দাওয়াতে যাচ্ছেন না মুসলিম নেতারা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা ছিল মুসলমানদের অধিকার সংগঠনগুলোর নেতৃস্থানীয়দের। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের অবস্থান ও ভূমিকার প্রতিবাদ হিসেবে সংগঠনগুলো ওই অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় সহায়তা, সমর্থন ও ন্যায্যতা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। 

রোববার (১৬ মে) একটি ভার্চুয়াল ঈদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জো বাইডেন।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২ জনে, যার মধ্যে ৫৮টি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জনের বেশি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বাইডেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, হামাসের রকেট থেকে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি মার্কিন সরকারের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। 

মুসলিম অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, সহিংসতা বাড়াতে ইসরায়েলকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

এক বিবৃতিতে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের (সিএআইআর) নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, গাজায় নিরপরাধ নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বর্ণবাদী সরকার নির্বিচারে বোমা বর্ষণে যখন বাইডেন প্রশাসন সরাসরি সহায়তা, সমর্থন ও ন্যায্যতা দিচ্ছে, তখন তাদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে আমরা স্বস্তি বোধ করছি না। 

তিনি বলেন, এই অন্যায় বন্ধে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রাজনৈতিক ও নৈতিক কর্তৃত্ব রয়েছে। আমরা তাকে ভুক্তভোগীদের পক্ষে দাঁড়াতে আহ্বান জানাচ্ছি।

আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন নামের আরেকটি সংগঠনও বাইডেন প্রশাসনের ঈদ উদযাপনের অনুষ্ঠান বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বলছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের জীবনের বিনিময়ে হোয়াইট হাউসকে পবিত্র ঈদ উদযাপনের বিষয়টি রাজনৈতিক অভিলাষ হিসেবে ব্যবহার করতে দেব না আমরা।’গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা। 

এদিকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জার্মানির বার্লিন, ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন, নিউইয়র্কসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বিক্ষোভ চলছে।

অপরদিকে, ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।