'বিজেপি জোর করে বাংলা দখল করতে চাচ্ছে'

সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি বলেছেন, ‘বিজেপি জোর করে বাংলা দখল করতে চাচ্ছে। কিন্তু দিল্লির স্তাবকতা করে বাংলার মানুষ বেঁচে থাকবে না।’ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রোববার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁয় দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

'বিজেপি জোর করে বাংলা দখল করতে চাচ্ছে'

সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমপি বলেছেন, ‘বিজেপি জোর করে বাংলা দখল করতে চাচ্ছে। কিন্তু দিল্লির স্তাবকতা করে বাংলার মানুষ বেঁচে থাকবে না।’ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রোববার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মিনাখাঁয় দলীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

গতকাল শনিবার নির্বাচন চলাকালীন কুচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিবর্ষণের ফলে চার মুসলিম যুবক নিহত হয়। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গতকাল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন হয়েছে। সত্যি কথা বলতে হৃদয় মন আজকে ভারাক্রান্ত। যে বেদনাদায়ক মর্মান্তিক ঘটনা কালকে আপনারা কুচবিহারের বুকে দেখেছেন, তাতে প্রতিবাদের ভাষা নেই আমাদের কাছে। ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। নেতাই, নন্দীগ্রামের পরে চার চারটে তরতাজা প্রাণ, তাঁদের রক্তে কুচবিহারের শীতলকুচির মাটি রঞ্জিত হয়েছে। চারজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কার নির্দেশে ওই ঘটনা ঘটেছে সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু আমরা চাই ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’  

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার বলুন, যারা বাংলাকে অশান্ত করতে চাচ্ছে, আপনারা তাদের কী ক্ষমা করবেন? নেতাই, নন্দীগ্রামের পরে এই ‘গণহত্যা’ দশ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আছেন, কোথাও দেখতে পেয়েছেন? একটা কোথাও কী গুলি চলেছে? কোথাও কী পুলিশের গুলিতে মানুষ নিহত হয়েছে? কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে কুচবিহারের ওই চারজনের কী দোষ ছিল? তাদের দোষ হচ্ছে তাঁরা গরীব। তাদের দোষ হচ্ছে তাঁরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে আত্মরক্ষার স্বার্থে তাঁরা গুলি চালিয়েছে। কিন্তু যখন ঘটনা ঘটে তখন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে আপনারা তা দেখেছেন। যাদের উপরে গুলি চালানো হয়েছে, তাদের হাতে কোনও অস্ত্র ছিল? আত্মরক্ষার স্বার্থে যদি গুলি চালাতে হয় তাহলে পুলিশ আগে টিয়ার গ্যাস চালায়। আত্মরক্ষার স্বার্থে কেউ যদি গুলি চালায় তাহলে হাতে চালাক, পায়ে চালাক। কিন্তু তা না করে সোজা বুকে গুলি চালিয়েছে! কেন জানেন? যেনতেন প্রকারে বাংলা দখল করতে হবে সেজন্য। ওই ঘটনার প্রতিবাদ বুলেটের মাধ্যমে নয়, ব্যালটের মাধ্যমে করতে হবে।’ 

বিজেপির নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘ওরা যেভাবে জবরদখল করে বাংলা দখল করতে চাচ্ছে তাতে আর যাই হোক দিল্লির স্তাবকতা করে বাংলার মানুষ বেঁচে থাকবে না।’

প্রকৌশল নিউজ/এমএস