বিজয়ের মাসে হবে পদ্মার স্বপ্ন জয়

বিজয়ের মাসে হবে পদ্মার স্বপ্ন জয়
পাদ্মা সেতু

২০২১ সালে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপন করবে বাংলাদেশ। সূবর্ণ জয়ন্তীর বিজয় দিবসের আগেই বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিক পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হবে। তবে তার আগে চলতি বিজয়ের মাসে আরো একটি স্বপ্ন জয়ের পথে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে। 


দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলের জন্য বিভোর হয়ে আছে। আসন্ন বিজয় দিবসে সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও পুরো দৃশ্যমান পদ্মাসেতু দেখতে পারবে বাংলাদেশ। কারন ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনে বসবে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর সর্বশেষ স্প্যান।


ঠিক তিন বছর আগে বিজয়ের মাসেই ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর খুটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর সাথে সাথে প্রথম দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের এই সেতু। এরপর তিন বছরে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে একে একে বসেছে ৩৯ টি স্প্যান। পুরো সেতু দৃশ্যমান হতে বাকি আর মাত্র দুটি স্প্যান। এর মধ্যে একটি বসবে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে।  আর সর্বশেষটি বিজয়ের দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বরে বসিয়ে উদযাপন করা হবে বিজয় দিবসের। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন।


চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানায়, তারা শেষ দুটি স্প্যানের কাজ শেষ করেছেন। এর মধ্যে একটির কাজ শতভাগ শেষ করে কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের বাইরে নদী তীরে রাখা হয়েছে।  অন্যটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের ভেতরে শেষ মুহূর্তের ঘষামাজার মধ্যে আছে। ডিসেম্বরের প্রথম ১০ দিনের মধ্যে ৪০তম এবং ১৬ ডিসেম্বর ৪১তম শেষ স্প্যনটি খুঁটিতে তুলে পুরো সেতু দৃশ্যমান করা হবে। প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, সেতুতে সড়কপথ গড়তে লাগবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডস্লাব। এর মধ্যে নভেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১২৩৯টি। আর রেলপথের জন্য লাগবে ২৯৫৯টি রেলস্লাব। ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১৮৬০টি।


৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুর আর মাত্র ৩শ মিটার বাকি। এখন অপেক্ষা কেবল দুটি স্প্যানের। সেই শেষ দুটি স্প্যান বসতে যাচ্ছে বিজয়ের মাসে। তারপর পুরো সেতু দেখা যাবে। যার একপ্রান্ত শরিয়তপুর, অন্যপ্রান্ত মুন্সিগঞ্জ।