শাহজালালে আবারও বিশাল বোমা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে মাটি খোঁড়ার সময় ২৫০ কেজি ওজনের আরও একটি জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধ্বংস করার জন্য বিমান বাহিনীর বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট বোমাটি নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

শাহজালালে আবারও বিশাল বোমা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালে মাটি খোঁড়ার সময় ২৫০ কেজি ওজনের আরও একটি জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ধ্বংস করার জন্য বিমান বাহিনীর বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট বোমাটি নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 

এ নিয়ে বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে একই ওজনের ৫টি বোমা উদ্ধার করা হলো। 

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দেরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ‘বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে বিমান বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।’

তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে এখানে আরও বোমা আছে। তবে বেশ কয়েকবার এলাকাটি স্ক্যান করেও সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। হয়তো এগুলো মাটির বেশি গভীরে রয়েছে।’ 

গত ১৯ ডিসেম্বর তৃতীয় বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই সময় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর জানায়, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কনস্ট্রাকশন সাইটে পাইলিংয়ের কাজ করার সময় ১০ ফুট মাটির নিচ থেকে ২৫০ কেজি ওজনের জেনারেল পারপাস (জিপি) বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুর প্রশিক্ষিত বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বোমাটি ধ্বংস করতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত বোমাগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভূমিতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

এর আগে, গত বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ও সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মাটি খোঁড়ার সময় বোমা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে এসে বিমানবাহিনীর বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট বোমা দুটি নিষ্ক্রিয় করে নিয়ে যায়। পরে রসুলপুরে বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বোমাগুলো ধ্বংস করে বিমানবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয় বিশেষজ্ঞ দল।