মিটিং না হওয়ায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত!

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে সরকারী কাজ বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ ওঠেছে

মিটিং না হওয়ায় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত!

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ এর বিরুদ্ধে সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পদাধিকার বলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত একেএম আব্দুস ছালাম বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিন মাস আগে পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কমিটি গঠিত হয়।

কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য গত তিন মাসে উপজেলা শিক্ষা কমিটির একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভা আহবানের সময় চেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ এর নিকট ফাইল পাঠানো হলে তিনি তিন বার ফাইল ফেরৎ দিয়েছেন। তবে নোট শীটে পরবর্তীতে সময় নির্ধারণ করে জানানো হবে বলে তিনি জানান। তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ কমিটি না হওয়ায় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার একাধিকবার মিটিং এর সময় চেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট ফাইল দিলেও চেয়ারম্যান মহোদয় মিটিং এর সময় নির্ধারণ করেননি। তবে আমি আশা করি খুব শীঘ্রই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান, স্থানীয় এমপি মহোদয় না থাকায় মিটিং হচ্ছে না!

স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি জানান, আগামী মাসে এসে আমি জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় মিটিং করবো।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিক্ষা কমিটির সভাপতি। তিন মাস যাবৎ কেন শিক্ষা কমিটির মিটিং হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখা হবে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ কমিটির মিটিং না হওয়ায় শতাধিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।