শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : আরও ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামের এক যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এনিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : আরও ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামের এক যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এনিয়ে এ ঘটনায় মোট ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে উঠে ছয়জনের মরদেহ। পরে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। 

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সাভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।

নিহতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জে কোর্টগাও এলাকার মুন্সীগঞ্জের উত্তর চর মসুরার পখিনা (৪৫), একই এলাকার বিথী (১৮) ও তার এক বছর বয়সী মেয়ে আরিফা, দোলা বেগম (৩৪), মুন্সীগঞ্জ সদরের রুনা আক্তার (২৪), মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দির সোলেমান বেপারী (৬০) ও তার স্ত্রী বেবী বেগম (৬০), মুন্সীগঞ্জের মালপাড়ার সুনিতা সাহা (৪০) ও তার ছেলে বিকাশ (২২), মুন্সীগঞ্জ সদরের প্রতিমা শর্মা (৫৩), মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি চর কিশোরগঞ্জের মো. শামসুদ্দিন (৯০) ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৬৫), বরিশালের উটরা উজিরপুরের হাফিজুর রহমান (২৪), তার স্ত্রী তাহমিনা (২০) এবং এক বছর বয়সী শিশুপুত্র আবদুল্লাহ, মুন্সীগঞ্জের দক্ষিণ কেওয়ারের নারায়ণ দাস (৬৫) ও তার স্ত্রী পার্বতী দাস (৪৫), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের কল্যান্দী এলাকার আজমির (২) (ঘটনার সময় সে দাদা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ছিল, দাদা সাইফুল বেঁচে গেছেন), মুন্সীগঞ্জ সদরের শাহ আলম মৃধা (৫৫), একই এলাকার মহারানী (৩৭), ঢাকার শনির আখড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৩০) ও তাদের সাত মাস বয়সী মেয়ে মানসুরা, মুন্সীগঞ্জ সদরের ছাউদা আক্তার লতা (১৮), শরিয়তপুরের নড়িয়ার আবদুল খালেক (৭০), ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার মোছা. জিবু (১৩), মুন্সীগঞ্জের খাদিজা বেগম (৫০), নারায়ণগঞ্জের বন্দরের দক্ষিন সাবদির নুরু মিয়ার ছেলে মো. নয়ন (১৯) ও সাদিয়া (১১)।

এরআগে রোববার (৪ এপ্রিল) রাতে লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরেরদিন সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে এক শিশু ও দুপুরে উদ্ধারকৃত লঞ্চের ভেতর থেকে ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইদিন রাতে দুই শিশুসহ আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্যমতে, সোমবার পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে আরও ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।