সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই: আমান

মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টা করা হলে সরকারের হাত পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, এই সরকারের সাথে জনগণ নেই। এই জন্যই এই সরকার জনগণকে ভয় পায়।’

সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই: আমান

মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টা করা হলে সরকারের হাত পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই, এই সরকারের সাথে জনগণ নেই। এই জন্যই এই সরকার জনগণকে ভয় পায়।’

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের প্রতিবাদি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আমান বলেন, ‘বিগত ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য ৩০শে ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে ডাকাতি করা হয়েছে। আজকে এইজন্যই এই সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সেক্টর কমান্ডার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীরউত্তম, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

বিএনপি নেতা বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার ভোট ডাকাতির সরকার, এই সরকার ভোট জালিয়াতির সরকার, এই সরকার মিডনাইট সরকার, এই সরকার অনৈতিক সরকার, এই সরকার মাফিয়া সরকার, এই সরকার অবৈধ সরকার ‘।

ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যে বিচারক সুষ্ঠু রায় দেয় তাকেই আজকে দেশ ছাড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকার সংসদকে ধ্বংস করে দিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে।’

আমান বলেন, ‘আজকে এই সরকারের প্রধান থেকে মন্ত্রিপরিষদে যারা রয়েছেন, এম পি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী রয়েছে তারা আজকে লুটপাট করছে। আপনারা দেখছেন বিভিন্ন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কিভাবে এই সরকার ভোট ডাকাতি করছে, কিভাবে জাতীয় সংসদ উপ নির্বাচনগুলোতে ভোট ডাকাতি করছে। সুতরাং এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। তাই সুষ্ঠ নির্বাচন পেতে হলে সকল দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ৯০ এর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারপ্রধান ও সরকারকে উৎখাত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আমরা এই সরকারকে আর কোন নির্বাচনের সুযোগ দিবো না। আবার আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসবেন? এটা বাংলাদেশে হতে পারে না।’

প্রকৌশল নিউজ/এস