সেবার সুযোগ পেলে আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, সেবা করার সুযোগ পেলে অবশ্যই আগামীতে তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ইনশাল্লাহ, এই আওয়ামী লীগ যদি জনগণকে সেবা করার সুযোগ পায়, তবে অবশ্যই বাংলাদেশ আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ অর্থ মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, আওয়ামী লীগ অর্থই উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’

সেবার সুযোগ পেলে আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, সেবা করার সুযোগ পেলে অবশ্যই আগামীতে তিনি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং ইনশাল্লাহ, এই আওয়ামী লীগ যদি জনগণকে সেবা করার সুযোগ পায়, তবে অবশ্যই বাংলাদেশ আগামীতে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামী লীগ অর্থ মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন, আওয়ামী লীগ অর্থ বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, আওয়ামী লীগ অর্থই উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম ও ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপত্বি করছিলেন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর, একরকম জোর করে নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে আসার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাবা-মা সব হারিয়ে ফিরে এসেছিলাম এবং একদিকে যেমন আওয়ামী লীগ আমাকে তাদের সভাপতি নির্বাচন করেছিল, পাশাপাশি এদেশের জনগণ, তাদের আশ্রয়েই আমি এসেছিলাম। তাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেয়েছিলাম আমার হারানো বাবা, মা এবং ভাইদের। তাই এদেশের মানুষের জন্য যে কোন আত্মত্যাগেই আমি সবসময় প্রস্তুত’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। আর সবথেকে বড় কথা হলো, গণমানুষের সমর্থন নিয়েই আমরা সেটা করেছি। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং আর কখনো আমরা পরমুখাপেক্ষী হবো না। কারো কাছে হাত পেতে চলতে হবে না। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে চলবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে আমি স্যালুট করি এবং আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে এর নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদও পয়েন্ট অব অর্ডারে এদিন বক্তৃতা করেন। সুত্র-বাসস।