স্বেচ্ছাসেবকরা চাইলে টিকা নিতে পারবেন

করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি নতুন। টিকাটি যেহেতু প্রথম বাংলাদেশে আসছে, সেই কারণে অল্প কিছু মানুষের ওপর প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। কেউ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে টিকা নিতে চায় তাহলে তাকে টিকা দেওয়া হবে।

স্বেচ্ছাসেবকরা চাইলে টিকা নিতে পারবেন

করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি নতুন। টিকাটি যেহেতু প্রথম বাংলাদেশে আসছে, সেই কারণে অল্প কিছু মানুষেকে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। কেউ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে টিকা নিতে চায় তাহলে তাকে টিকা দেওয়া হবে।

সোমবার কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এই কথা জানান।

তিনি বলেন, টিকাটি যেহেতু প্রথম বাংলাদেশে আসছে, সেই কারণে আমরা কিছু জায়গায় অল্প কিছু মানুষকে টিকা দেবো। সেটি মেডিক্যাল কলেজ হতে পারে, অথবা হাসপাতালও হতে পারে। সেখানে ভ্যাকসিনেটর বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যদি কেউ টিকা নিতে চান, তাদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, টিকা দেওয়ার পর সাত দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এরপর ফিল্ডে কাজ শুরু করে দেবো। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যেনও কোনও ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি না হয় সেজন্য ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যদি মানুষের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি থাকে বা সংশয় থাকে তা দূর করার জন্য আপনারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের ভেতরে সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।