হারের পরও সন্তুষ্ট মাহমুদুল্লাহ

হার দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করে সফরকারী বাংলাদেশ। ৬৬ রানে হারের পরও দলের পারফরমেন্সে খুশী বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

হারের পরও সন্তুষ্ট মাহমুদুল্লাহ

হার দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরু করে সফরকারী বাংলাদেশ। ৬৬ রানে হারের পরও দলের পারফরমেন্সে খুশী বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২১০ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।

টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, টার্গেট বড় হলেও ম্যাচ জয়ের টার্গেট নিয়ে খেলোয়াড়রা খেলতে নেমেছিলো।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দেয়া একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় আজ মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘দলের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব দেখে আমার ভালো লেগেছে। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০-১২০ রানে অলআউট হতে পারেন। তবে আপনি যদি ম্যাচ জয়ের মনোভাব দেখাতে পারেন, তবে সুযোগ আপনার পক্ষে আসতে পারে।’

মাহমুদুল্লাহ জানান, প্রথম ওভারে শুন্য রানে অভিষেক ম্যাচেই উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। এরপর নিউজিল্যান্ডকে চাপে রাখা গিয়েছিলো। এতে আমাদের ম্যাচ জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছিলো।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের ভালো সুযোগ ছিলো। আমরা শুরুতে উইকেট নিয়েছি এবং তাদের রান রেট সাতের নিচে রেখেছি। তবে ডেভন যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে সে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। তিনি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এবং আমাদের কোনও সুযোগ দেননি ।’

মাহমুদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমাদের বোলাররা ভাল বোলিং করেছে, তাই আমি তাদের দোষ দিতে পারি না। আমাদের কিছু মিস ফিল্ডিং হয়েছে। যেগুলোতে বাউন্ডারি হয়েছে। আমরা যদি তাদের ১৯০তে আটকে রাখতে পারতাম, তবে রান তাড়া করতে পারতাম। তবে আমরা ব্যাটিংএ শুরুতে উইকেট হারিয়েছি, যা আমাদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের ব্যাটিংয়েও এমনটি বারবার ঘটছে।’

এ ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের অভিষেক হয়। একাদশে সিনিয়র হিসেবে শুধুমাত্র ছিলেন মাহমুদুল্লাহই। ব্যক্তিগত কারনে টি-টুয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরেছেন। কাঁধের ইনজুরির কারনে বিশ্রামে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এই সফর থেকে আগেই সড়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। তাই সব মিলিয়ে এ ম্যাচে অভিজ্ঞতার অভাব লক্ষ্য করা গেছে।

মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এটি তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য ভালো সুযোগ ছিলো। বিশেষভাবে নাইম শেখ, আফিফ হোসেন এবং দু’জন নতুন খেলোয়াড়ের। নিজেদের সামর্থ্য বিশ্বকে দেখানোর ভালো সুযোগ ছিলো তাদের। অভিজ্ঞ সব খেলোয়াড়কে একসাথে সবসময় পাওয়া যাবে না। তাই এমন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করতে হবে এবং বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য দেখাতে হবে।’

প্রকৌশল নিউজ/এমএস