১১ বিশিষ্ট নাগরিকের সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতি দেওয়া ১১ বিশিষ্ট নাগরিক হলেন- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

১১ বিশিষ্ট নাগরিকের সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
প্রিজন ভ্যানে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। ছবি:সংগৃহীত

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতি দেওয়া ১১ বিশিষ্ট নাগরিক হলেন- আবদুল গাফ্ফার চৌধুরি, হাসান আজিজুল হক, অনুপম সেন, রামেন্দু মজুমদার, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

মঙ্গলবার ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‌‌‌'অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।'

এতে বলা হয়, 'বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতা দ্বারা সরকার উপকৃত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম আক্রান্ত হওয়ার কার্যকারণ আরো তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।'

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, 'আমরা মনে করি- রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা, সরকারের ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।'

প্রকৌশল নিউজ/এমআর