৩০ লাখ টাকায় নিজেকে ‘বিক্রি করতে চান’ আনিস! কেন?

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য ৩০ লাখ টাকায় নিজেকে 'বিক্রি করতে' চান সাতক্ষীরার তরুণ গাজী আনিস।

৩০ লাখ টাকায় নিজেকে ‘বিক্রি করতে চান’ আনিস! কেন?

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এ ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য ৩০ লাখ টাকায় নিজেকে 'বিক্রি করতে' চান সাতক্ষীরার তরুণ গাজী আনিস।

শুক্রবার জাতীয় শহীদ মিনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় প্লাকার্ড হাতে প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি। প্লাকার্ডে লেখা- 'বিক্রি হব; মূল্য- ৩০ লাখ টাকা।

প্ল্যাকার্ডে গাজী আনিস তার মূল্য ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কিছু মোবাইলভিত্তিক লেনদেনের নম্বর দিয়েছেন। হ্যাশট্যাগ দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ফেসবুকে গাজী আনিস লেখেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে উপকূলবাসীর টিকে থাকার সংগ্রাম বহুদিনের। আইলা, সিডর, বুলবুল, আম্পান, ইয়াসের মতো একের পর এক দুর্যোগ এসব এলাকায় আঘাত হেনেছে। কিন্তু টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় দিন দিন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ইয়াসের প্রভাবেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলের মানুষ। স্বপ্নহারা হয়েছে অনেক শিশু, অনেক পরিবারের শেষ সম্বল ভেসে গেছে পানিতে। এখনো অনেকেই বাড়িছাড়া হয়ে বসবাস করছেন। দিনে দিনে এই দুঃখ বাড়ছে। আমার জন্মভূমি উপকূলীয় এলাকায়। যেখানের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছি, সেসব মানুষের কথা চিন্তা করে সহযোগিতা করার জন্য নিজেকে বিক্রি করার এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মতো তরুণরা যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেন, নিশ্চয়ই একটা সমাধানের পথ বের হবে।
 
গাজী আনিস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইয়াস মূলত ভারতে আঘাত হেনেছে। সেখানে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ইয়াস-এর প্রভাবে বাংলাদেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর কারণ হলো- টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকা। যারা মারা গেছেন বা যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার প্রায় সবই হয়েছে উচ্চ জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে সৃষ্ট বন্যায়। এ কারণে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো টেকসই বেড়িবাঁধ। আমি নিজেকে বিক্রি করেও যদি টাকা পাই, তা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে চাই।

রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতক সম্পন্ন করা গাজী আনিসের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায়।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস