অর্থ পাচারকারীদের পুষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: হাইকোর্ট

কিছুদিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিলেন যে, বিদেশে অর্থ পাচারের সাথে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত। তখন বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমসহ সচেতন মহলে বেশ আলোচনার জন্ম নেয়। এবার বিষয়টিতে ‘ঘি’ঢাললো উচ্চ আদালত। সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন সোমবার এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হতে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীদের পুষে রাখে। 

অর্থ পাচারকারীদের পুষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক: হাইকোর্ট

কিছুদিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিলেন যে, বিদেশে অর্থ পাচারের সাথে সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত। তখন বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমসহ সচেতন মহলে বেশ আলোচনার জন্ম নেয়। এবার বিষয়টিতে ‘ঘি’ ঢাললেন উচ্চ আদালত। 

সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন সোমবার এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিজেরা লাভবান হতে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং অপরাধীদের পুষে রাখে। 

হাইকোর্ট বলেছেন, দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে, সরকার প্রধান যখন এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছেন, যখন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মনিটরিংয়ের কাজ করার কথা, সেখানে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, জেনারেল ম্যানেজার, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নররা ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য অর্থপাচারকারী ও অর্থআত্মসাতকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মাতৃভূমির অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।

ব্যক্তি স্বার্থের জন্য আর্থিক খাতের এই বিপর্যয়ের জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছে আদালত।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পর্ষদ অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি বিদেশি অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের করা আবেদনে এই পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুখ। বিআইএফসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান আজিম, মাহফুজুর রহমান মিলন ও মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ।

রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, ২০০২ সাল থেকে আজ অবধি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উচিত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালানো।

গত ১৭ ডিসেম্বর সংক্ষিপ্ত রায় দেওয়া হলেও সোমবার (৪ জানুয়ারি) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে এ আদেশ প্রতিপালনের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের।