ইসরায়েল : নেতানিয়াহু ধপাস

থামনো গেলনা নেতানিয়াহুর পতন। অবশেষে ধপাস করে পড়ে গেলেন এই যুদ্ধবাজ নেতা। কট্টর ডানপন্থি নাফতালি বেনেটের বহুল প্রত্যাশিত এমন সমর্থনের ফলে নেতানিয়াহুকে বাদ দিয়ে দেশটির বিরোধী দলগুলোর প্রধান ইয়ার ল্যাপিডের নেতৃত্বে ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনে আর কোনো বাধা থাকল না। নেতানিয়াহুকে সরিয়ে বেনেট হতে যাচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।

ইসরায়েল : নেতানিয়াহু ধপাস

থামনো গেলনা নেতানিয়াহুর পতন! অবশেষে ধপাস করে পড়ে গেলেন এই যুদ্ধবাজ নেতা। কট্টর ডানপন্থি নাফতালি বেনেটের বহুল প্রত্যাশিত এমন সমর্থনের ফলে নেতানিয়াহুকে বাদ দিয়ে দেশটির বিরোধী দলগুলোর প্রধান ইয়ার ল্যাপিডের নেতৃত্বে ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনে আর কোনো বাধা থাকল না। নেতানিয়াহুকে সরিয়ে বেনেট হতে যাচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।

জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বাদ দিয়ে জোট সরকার গঠনে একমত হয়েছেন দেশটির বিরোধী দলের নেতারা। কট্টর ডানপন্থি নাফতালি বেনেটের বহুল প্রত্যাশিত সমর্থন পেয়েছেন দেশটির বিরোধী দলগুলোর প্রধান ইয়ার ল্যাপিড। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্টার্ন আইয়ের প্রতিবেদনে এমনটি জানান হয়েছে।

মধ্যপন্থি নেতা ইয়ার ল্যাপিডের সঙ্গে আলোচনা শেষে নাফতালি বেনেট রোববার টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তার সমর্থনের কথা জানান। বেনেট বলেন, ‘নতুন সরকার গঠনে ইয়েস আতিড পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ার ল্যাপিডের প্রতি আমার পূণ সমর্থন রইল।’

এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে হওয়া ক্ষমতার বন্টন চুক্তি অনুযায়ী, নেতানিয়াহুকে সরিয়ে কট্টর ডানপন্থি নাফতালি বেনেট হতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী। বেনেটের এমন সমর্থনের ফলে ইয়ার ল্যাপিডের নেতৃত্বে ডানপন্থি, মধ্যপন্থি এবং বামপন্থি দলগুলোর সমন্বয়ে নতুন সরকার গঠনে আর কোনো বাধা থাকল না। মধ্যপন্থি ইয়েস আতিড পার্টির প্রধান ইয়ার ল্যাপিড গত মার্চে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে নেতানিয়াহুর পরের অবস্থানে ছিলেন।

এর আগে, এই দুই নেতার মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তিতে সমর্থন না দিতে ডানপন্থি রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠন দেশটির নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে সতর্ক করেন লিকুদ পার্টির প্রধান।

নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য ল্যাপিডের হাতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। বুধবার শেষ হতে যাচ্ছে ২৮ দিনের সেই সময়সীমা। এর মধ্যে নতুন সরকার গঠনে ইলার ল্যাপিড যদি ব্যর্থ হতেন তাহলে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প ছিল না।

রোববার এ প্রচেষ্টা সফল হবার ফলে ইসরায়েলে শেষ হতে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন। ২০০৯ সাল থেকে টানা প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন নেতানিয়াহু। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্তও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সব মিলিয়ে ইসরায়েলের ৭৩ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী ৭১ বছর বয়সী নেতানিয়াহু। দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে নেতানিয়াহুর। চলতি বছরের মার্চের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হন তিনি।

গত দুই বছরে ইসরায়েলে চারটি সাধারণ নির্বাচন হয়। কোনোবারই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। জোট সরকার গঠনেও কোনো দল সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি বলে প্রতিবারই নতুন সাধারণ নির্বাচনের দিকে ধাবিত হয়েছে দেশটি।

এ অবস্থায় ইসরায়েলের প্রায় একটি প্রজন্মকে নেতৃত্ব দেয়া নেতানিয়াহু রোববার বলেন, ‘বামপন্থি জোট সরকার ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের প্রতি হুমকি। এ ধরনের সরকারের হাতে দেশের নেতৃত্ব তুলে দেবেন না।’

বেনেটের বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন নেতানিয়াহু। ল্যাপিডের সঙ্গে জোট বাঁধবে না বলে শুরুতে জানিয়েছিলেন বেনেট। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জোট বাঁধার আলোচনা শুরুকে ‘শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রতারণা’ বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।