এই দেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা স্থান পাবে না: জয়

জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘ছাত্রদলের গুন্ডাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গুন্ডামি করে লাভ নেই। ছাত্রলীগ মাঠে আছে। এই দেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা স্থান পাবে না।‘

এই দেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা স্থান পাবে না: জয়

জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মারা বিভিন্ন জায়গায় মাথাচাড়া দিচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘ছাত্রদলের গুন্ডাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গুন্ডামি করে লাভ নেই। ছাত্রলীগ মাঠে আছে। এই দেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা স্থান পাবে না।‘

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে এই সমাবেশ হয়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে ‘অছাত্র ও গুন্ডাদের সংগঠন’ বলে অভিহিত করে জয় বলেন, ‘দুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। ছাত্রদলের গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বাঁশ দিয়ে অতর্কিত হামলা করেছিল। ছাত্রদলের গুন্ডাদের বলতে চাই, আপনারা অছাত্রদের সংগঠন৷ অছাত্রদের এই সংগঠনকে আমরা আর কোনো ধরনের অরাজকতার সুযোগ দেব না।’

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি জোটের আমলে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। বিএনপির নেতৃত্বে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখন লোডশেডিং ছিল। এখন আমরা জানতেও পারি না কখন লোডশেডিং হয়। করোনা মোকাবিলায় সারা বিশ্ব যখন হিমশিম ও হোঁচট খেয়েছে, সেই সময়ে বাংলাদেশে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রেখে করোনো মোকাবিলায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন সারা পৃথিবীতে একটি আশ্চর্য।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছেন, তখন একটি পক্ষের চুলকানি শুরু হয়ে গেছে। তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কারণ, তারা সরকার হটানোর দিবাস্বপ্ন দেখেছিল। এত সহজ নয়।’

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এই কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

প্রকৌশল নিউজ/এস