এবার ভারতীয় নারী তার সন্তানকে কাছে পেতে আদালতে

বাংলাদেশি বাবা ও ভারতীয় মা প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশুকে পেতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। এমন অবস্থায় শিশু মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনায় আপাতত তার মা সাদিকা শেখের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এবার ভারতীয় নারী তার সন্তানকে কাছে পেতে আদালতে

বাংলাদেশি বাবা ও ভারতীয় মা প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশুকে পেতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। এমন অবস্থায় শিশু মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনায় আপাতত তার মা সাদিকা শেখের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দুই মাস পর এই মামলার পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত। এই দুই মাস সাদিকা সাঈদের পাসপোর্ট গুলশান থানায় জমা রাখতে বলা হয়েছে।

এই সময়ে বাবা সপ্তাহে তিন দিন শিশুটির সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন। এই তিন দিন সকাল নয়টায় বাবা শিশুটিকে নিয়ে আসবেন। দিন শেষে সন্ধ্যায় আবার শিশুটিকে তার মায়ের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে দেবেন বাবা।

ভারতীয় মুসলিম পরিবারের মেয়ে সাদিকা শেখের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সামিউর নবীর ২০১৭ সালের ৪ জুলাই হায়দরাবাদে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বসবাস শুরু করেন। ব্যবসায়িক কারণে পরে তারা ঢাকায় চলে আসেন। ২০১৮ সালে এই দম্পতির এক ছেলেসন্তান হয়। একপর্যায়ে তাদের সংসারে মতপার্থক্য দেখা দেয়। সামিউর নবী ১১ আগস্ট বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। পরে তিনি সন্তানকে নিজ হেফাজতে রাখতে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন।

অন্যদিকে সামিউর নবীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সাদিকাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সাদিকা স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। বিষয়টি জানিয়ে সাদিকার স্বজনেরা মানবাধিকার সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) কাছে আইনি সহায়তা চান।

এর ধারাবাহিকতায় শিশু ও তার মাকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। 

ফ্লাডের পরিচালক কাজী মারুফুল আলম ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ওই রিট করেন।

এর আগে বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে এক জাপানি মা তার দুই মেয়েকে ফেরতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে গত ২৩ আগস্ট বাবা শরীফ ইমরানের জিম্মা থেকে দুই শিশু সন্তানকে সিআইডি উদ্ধারের পর হাইকোর্ট তাদের আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন।

২০০৮ সালে জাপানি নারী চিকিৎসক এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি-আমেরিকান শরীফ ইমরানের (৫৮) বিয়ে হয় এবং তারা টোকিওতেই বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের সংসারে আসে তিন কন্যাসন্তান।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস