কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার ও জেলারকেও প্রত্যাহার

কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার ও জেলারকেও প্রত্যাহার

কারাগারে নারীর সঙ্গে বন্দির একান্ত সাক্ষাতের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার কারা মহাপরিদর্শক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় এর আগে কাশিমপুর কারাগার-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট প্রশিক্ষক আবদুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকেও প্রত্যাহার করা হয়।

কারা মহাপরিদর্শক জানান, তদন্তের স্বার্থে কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

কাশিমপুর কারাগার-১ এ থাকা ওই বন্দির নাম তুষার আহমেদ। তিনি হলমার্কের জিএম ছিলেন। তুষার হলমার্ক কেলেঙ্কারির মূলহোতা তানভীর মাহমুদের ভায়রা।

কারাগারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, ৬ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারী কারাগারের ভেতর ঢোকেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেরিয়ে যান। সিসি ক্যামেরায় পুরো সময়টা ধরা পড়েনি। এরমধ্যে রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে তিনি কারাফটকে আসার পর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন ও সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ওই নারীকে অন্য কর্মচারীদের সামনেই গ্রহণ করেন। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে। 

তুষার আহমেদের সঙ্গে অপরিচিত ওই নারী অন্তরঙ্গ ছাড়াও নানা ভঙ্গিতে বেশ কিছু সময় কাটান কারা ফটকের ভেতরে। এটা কীভাবে সম্ভব এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরপরই কারা কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এছাড়া জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন গত ১২ জানুয়ারি।