পুতনির বাল্য বিয়েতে বাধা দিয়ে আশ্রয়হীন বৃদ্ধ দাদা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্কুলপড়ুয়া পুতনির বিয়ের বন্ধ করার চেষ্টা করায় মারপিট করা হয়েছে দাদাকে। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে তাকে বের করে দিয়েছে সন্তানেরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাল্যবিয়েটি আটকাতে পারেননি তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ এপ্রিল রাতে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ব্রজপাটুলি গ্রামে।

পুতনির বাল্য বিয়েতে বাধা দিয়ে আশ্রয়হীন বৃদ্ধ দাদা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্কুলপড়ুয়া পুতনির বিয়ের বন্ধ করার চেষ্টা করায় মারপিট করা হয়েছে দাদাকে। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে তাকে বের করে দিয়েছে সন্তানেরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাল্য বিয়েটি আটকাতে পারেননি তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ এপ্রিল রাতে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ব্রজপাটুলি গ্রামে।

ওই স্কুল ছাত্রীর দাদা তার সন্তানদের কর্মকান্ডের বিষয়টি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ব্রজপাটুলি গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে ভুক্তভোগী এশার আলী (৬৩) লিখিত অভিযোগে জানান, তার পুতনি (বড় ছেলের মেয়ে) খানজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। তার পিতা মাতা ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার জন্য পায়তারা করছিল। গত ২ এপ্রিল রাতে তার পুতনিকে জোরপূর্বক উপজেলার চালতেবাড়িয়া গ্রামের অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দেয়ার সময় দাদা বাঁধা প্রদান করেন। এ সময় তার বড় ছেলে (স্কুলছাত্রীর পিতা) আনারুল ইসলাম (৩৬) এবং ছোট ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৩) তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ওই সময়ে তিনি  ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বৃদ্ধ বাড়িছাড়া। তিনি নিজের বাড়িতে গেলেও ছেলেরা তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম বাল্যবিয়েমুক্ত উপজেলা হিসেবে স্বীকৃত কালিগঞ্জ উপজেলায় এধরণের ঘটনা ঘটনায় সচেতন এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাল্যবিয়ে প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি