পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী, কে এই ইউলিয়া নাভালনায়া?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভানলিকে নার্ভ এজেন্ট বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পুরনো। নতুন খবর হলো নাভানলি জার্মানি থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার সাথে সাথেই বিমানবন্দরে আটক করে পুলিশ। নাভানলি এখন কারাগারে কিন্তু, হাজার হাজার মানুষ তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করছে। গত রোববারও ৪০ হাজার জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করে নাভানলির মুক্তির দাবিতে।

পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী, কে এই ইউলিয়া নাভালনায়া?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভানলিকে নার্ভ এজেন্ট বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পুরনো। নতুন খবর হলো নাভানলি জার্মানি থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার সাথে সাথেই বিমানবন্দরে আটক করে পুলিশ। নাভানলি এখন কারাগারে কিন্তু, হাজার হাজার মানুষ তার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করছে। গত রোববারও ৪০ হাজার জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করে নাভানলির মুক্তির দাবিতে।

এতদিন আলেক্সি নাভালনিকে রক্ষার জন্য কী না করেছেন তিনি! রাশিয়ায় ফেরার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাভালনিকে। স্বামী কারারুদ্ধ। তাই নতুন পরিচয়ে উঠে আসছেন ইউলিয়া নাভালনায়া।

তিনি যে রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা, ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক আলেক্সি নাভালনির স্ত্রী তা কে না জানে। নাভালনিকে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টার আগেও বহুবার সঙ্গে দেখা গেছে তাকে। তবে নাভালনি কোমায় চলে যাবার পর তাকে রাশিয়ার হাসপাতালে নেয়া। সেখান থেকে জার্মানিতে নিয়ে আসা এবং সুস্থ হয়ে যাবার পর আবার স্বামীর দেশে ফেরার সময়টায় বলতে গেলে নিয়মতিই খবরে ছিলেন তিনি। নাভালনি তখন বার্লিনের চারিটে হাসপাতালে। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি শত সাংবাদিকের ভিড় সেখানে। সবার প্রশ্ন কেমন আছেন তিনি? জ্ঞান ফিরেছে? কবে ছাড়া পাবেন?

প্রতিদিন এসব প্রশ্নের উত্তর দিতেন ইউলিয়া নাভালনায়া। স্বামী মৃত্যুশয্যায়। আবেগ গোপন করতে সবসময় চোখে রাখতেন কালো চশমা আর কণ্ঠে দুঃসময়কে জয় করার অবিচল দৃঢ়তা। কোমা থেকে জীবনে ফেরার পর ইন্সটাগ্রামে ঠিক এই কথাটাই লিখেছিলেন আলেক্সি নাভালনি। ‘ইউলিয়া, তুমি আমায় বাঁচালে’ কথাটা ছিল ইউলিয়ার ২০ তম বিবাহবার্ষিকীর সেরা এবং একমাত্র উপহার৷

নাভালনি কোমায় যাবার পর থেকে বার্লিনের হাসপাতাল ছাড়া পর্যন্ত চরম বিপদেও অবিচল থেকেছেন ইউলিয়া। অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করা ইউলিয়াকে সেই রূপেই দেখা গেল গত ১৭ জানুয়ারি। স্বামীর গালে চুমু দিয়ে তাকে রুশ পুলিশের সঙ্গে কারাগারে পাঠানোর পর ৪৪ বছর বয়সি ইউলিয়া বলেছেন, ‘‘আলেক্সি আর আমি ভয় পাইনি। আপনারাও ভয় পাবেন না।’’ মস্কোর শেরেমেতেভো বিমানবন্দরে উপস্থিত সমর্থকরা তখন, ‘ইউলিয়া, ইউলিয়া’ বলে চিৎকার করছিল৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কন্সটানটিন কালাচেভ মনে করেন, ‘‘আলেক্সি যেহেতু গ্রেপ্তার, এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে।’’ তার মতে, অনেকের কাছে এখন ইউলিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নাভালনির চেয়েও বেশি। তিনি মনে করেন, পুতিনের বিরুদ্ধে একই লোক দেখতে দেখতে মানুষ খুব বিরক্ত। সেই একঘেয়েমি শেষ করে ইউলিয়ার সামনে পুতিনবিরোধী নতুন নেতা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে বলেও তিনি মনে করেন।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে