পোশাক কারখানা খোলা, মালিকদের মানতে হবে ১৫ শর্ত

সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এর মধ্যেই কারখানা মালিকদের আবেদনের পেক্ষিতে আজ রবিবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য ১৫টি শর্ত মানতে হবে কারখানা মালিকদের।

পোশাক কারখানা খোলা, মালিকদের মানতে হবে ১৫ শর্ত

সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এর মধ্যেই কারখানা মালিকদের আবেদনের পেক্ষিতে আজ রবিবার সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য ১৫টি শর্ত মানতে হবে কারখানা মালিকদের।

গতকাল শনিবার রাতে গার্মেন্টস মালিকদের একটি চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসানের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ১৫টি শর্ত মানতে বলা হয়েছে কারখানা মালিকদের।

ব্যাবিলন গ্রুপের গার্মেন্টসে কর্মরত কয়েকজন জানালেন, গার্মেন্টস খোলার নোটিশ মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সব শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণেই প্রায় অধিকাংশ শ্রমিকই কাজে যোগদান করেছে।

কয়েকজন গার্মেন্টস শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কারখানাগুলোতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকদের প্রবেশ করানো হলেও কিছু কিছু কারখানায় ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে। এছাড়া মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হলেও অধিকাংশ কারখানায় তাপমাত্রা মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

চিঠিতে দেওয়া শর্তগুলো হলো:  

১. কারখানা খোলা এবং ছুটির সময়ে গেইট বা কারখানার অভ্যন্তরে শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর লক্ষ্যে কারখানায় প্রবেশ ও কারখানা ত্যাগ করার বিষয়ে Staggered Time নির্ধারণ করার ওপর জোর দেওয়া।

২. শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে গমনাগমন পথের ব্যবহার নিশ্চিত করা (রশিশিকল দিয়ে পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের জন্য আলাদা লাইন করে কারখানায় প্রবেশ এবং বাহির নিশ্চিত করতে হবে)।

৩. সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কর্মঘণ্টা বিভিন্ন শিফটে নির্ধারণ করা।

৪. ফ্লোরে বা কাজের স্থানগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা।

৫. দুপুরের খাবারের বিরতি বা অন্যান্য বিরতি যথাসম্ভব Staggered Time এ করা।

৬. কারখানায় প্রবেশের সময় শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ করা অথবা প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা।

৭. কর্মস্থলে (কারখানা বা প্রতিষ্ঠান) সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে হাত পরিষ্কার সমগ্রী রাখা এবং নিয়মিত সেগুলো পুনর্ভর্তি করা।

৮. পর্যাপ্ত সংখ্যক সাবানের ব্যবস্থাসহ প্রধান ফটকে হাত ধৌতকরণ-স্থান নির্দিষ্ট করা।

৯. কারখানায় প্রবেশের সময় সব শ্রমিক-কর্মচারীর হাত ধৌতকরণ বা জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করা।

১০. হাত ধৌতকরণ বা জীবাণুমুক্তকরণের প্রতিটি স্থানপানির কলের মধ্যে ন্যূনতম এক মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করা।

১১. হাত ধৌতকরণ এবং জীবাণুমুক্তকরণের সঠিক পদ্ধতিগত নির্দেশাবলী দৃষ্টিগোচর স্থানে প্রদর্শন করা (যেমন উভয়হাত কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ধৌত করা)।

১২. হাত ধোয়ার পর শুকানোর জন্য ড্রায়ার বা টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা রাখা।

১৩. সার্বক্ষণিক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা।

১৪. কারখানার বাইরে সভা সমাবেশ, গণপরিবহন এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের উৎসাহিত করা; এবং

১৫. করোনা সংক্রমণের উপসর্গ সম্পর্কে শ্রমিক-কর্মচারীদের অবহিত করা।

উল্লেখ্য, রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা কঠোর বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখার জন্য সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার থেকে সব ধরনের রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু হবে।