ফিরেই সাকিবের বাজিমাত

তাঁর মাথার উপরে ছিল আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে সাকিব আল হাসান ফিরলেন ঠিক তাঁর পুরনো রুপেই। আর তাতেই দেশজুড়ে চলছে সাকিব বন্দনা।

ফিরেই সাকিবের বাজিমাত

তাঁর মাথার উপরে ছিল আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে সাকিব আল হাসান ফিরলেন ঠিক তাঁর পুরনো রুপেই। আর তাতেই দেশজুড়ে চলছে সাকিব বন্দনা।

সাকিব সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। জুলাইয়ে লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচের পরে গেছে দীর্ঘ বিরতি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব ফিরতি ম্যাচে করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা বোলিং। 

প্রত্যারর্তনের ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে দেশের মাটিতে দেড়শ' উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব। ঘরের মাঠে এখন তার উইকেট ১৫৩টি। তার ওপরে আছেন ম্যাকগ্রা, ব্রেটলিদের মতো তারকা বোলাররা। সাকিব তাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার খুব কাছে আছেন। মাশরাফিকেও ছাড়িয়ে দেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়ার পথে রয়েছেন বা হাতি এই স্পিনার। তার জন্য দরকার আর ছয় উইকেট।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ৭.২ ওভার বল করে মাত্র ৮ রান খরচ করে সাকিব তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চারটি উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে সফরকারীরা ধ্বসে গেছে একশ' রানের গন্ডি ছাড়াতেই। 

এ নিয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার তার ৫০ ওভারের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নয়বার ৪ উইকেট নিলেন। ২০১১ সালে সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬ রান খরচা করে নেন ৪ উইকেট। 

এর আগে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব করেন তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। রোজ বোলে সেদিন ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিন ফরম্যাটে একসঙ্গে বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। আর শেরে-ই-বাংলায় ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৭ রানে ৫ উইকেট তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং।