বইমেলায় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ নয়: ডিএমপি

করোনা মহামারির কারণে এবারের একুশে বইমেলা দেরিতে শুরু হচ্ছে। আগামী ১৮ই মার্চ থেকে এবারের অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে, ১৪ চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। একাধিকবার প্রকাশকদের ওপর হামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, অতীতের ঘটনা মাথায় রেখেই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কি না সে ব্যাপারে আমরা নজরদারি করছি। যথাসময়ে তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কি না সেটাও আমরা খোঁজ রাখছি।

বইমেলায় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ নয়: ডিএমপি

করোনা মহামারির কারণে এবারের একুশে বইমেলা দেরিতে শুরু হচ্ছে। আগামী ১৮ই মার্চ থেকে এবারের অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে, ১৪ চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। একাধিকবার প্রকাশকদের ওপর হামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, অতীতের ঘটনা মাথায় রেখেই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কি না সে ব্যাপারে আমরা নজরদারি করছি। যথাসময়ে তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কি না সেটাও আমরা খোঁজ রাখছি।

প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। মহামারী করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে এবারের বইমেলা এক ভিন্ন সময়ে শুরু হচ্ছে। বইমেলাকে ঘিরে তিন স্তরে নিরাপত্তা দিবে ডিএমপি। পাশাপাশি মেলাসহ  আশপাশের  সড়কে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অমর একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে মর্মে জানান ডিএমপির এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

মঙ্গলবার (১৬মার্চ) সকাল ১১ টায় অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

বাংলা একাডেমিকে সাথে নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বইমেলায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকে উল্লেখ করে  কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, করোনা অতিমারীসহ বিভিন্ন ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিন্ন সময়ে আমরা এবারের  একুশে বইমেলা শুরু করছি। করোনা অতিমারী বা আবহাওয়া যেমনই থাকুক না কেন প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকায় রাস্তা অনেক সংকীর্ণ হয়েছে। বইমেলায় দর্শনার্থীদের সুষ্ঠুভাবে প্রবেশ ও বাহির করাটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি প্রবেশ পথে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে হবে। পুরো বইমেলা এলাকা থাকবে সম্পূর্ণ সিসিটিভির আওতায়। সন্দেহজনক কোন কিছু দেখলে দেহ তল্লাশী করতে নারী ও পুরুষ পুলিশের টিম থাকবে। একুশে বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের তল্লাশী নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমাদের সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছি। এ মেলা উপলক্ষে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। 

তিনি আরো বলেন, এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর গেট সংযুক্ত হয়েছে। যে সকল দর্শনার্থী সন্ধ্যার পরে মেলায় প্রবেশ করবেন তারা ইন্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট ও শিখা চিরন্তন গেট ব্যবহার করবেন।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন,করোনা মহামারীর কারণে দর্শনার্থীদের মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে। মেলার প্রবেশ পথে সাবান পানি ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। কোন প্রাকৃতিক বিপর্য না হলে সবার সহোযোগিতায় নিরাপদ পরিবেশে অমর একুশে বইমেলা উদযাপন করতে পারব।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস