ভারতে টিকা বিতরণ শুরু

পুরো ভারতজুড়ে ১৬ জানুয়ারি করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্রী মোদী। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য ভারতের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ব্যাচ দেশটির বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতে টিকা বিতরণ শুরু

পুরো ভারতজুড়ে ১৬ জানুয়ারি করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্রী মোদী। সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য ভারতের পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ব্যাচ দেশটির বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু চার দিন আগে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ব্যাচের চালান বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে স্থানীয় সময় আজ ভোর পাঁচটার দিকে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত তিনটি ট্রাক কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ব্যাচ নিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের ফটক ত্যাগ করে।

নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ট্রাকগুলোয় কোভিশিল্ড টিকার মোট ৪৭৮টি বাক্স রয়েছে। প্রতিটি বাক্সের ওজন ৩২ কেজি।

টিকাবাহী ট্রাকগুলো সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় থেকে পুনে বিমানবন্দরের উদ্দেশে যায়। পুনে বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজে করে টিকাগুলো ভারতের ১৩টি শহরে পাঠানো হবে।

দুটি কার্গোসহ আটটি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজে টিকাগুলো বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হবে।

ভারত সরকার প্রথম দফায় এক কোটির বেশি ডোজ কোভিশিল্ড টিকার ক্রয়াদেশ দিয়ে রেখেছে। দেশটির সরকার এপ্রিল নাগাদ সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি টিকা কিনতে চায়। 

সেরাম থেকে প্রথম ব্যাচের টিকার প্রতি ডোজ ২০০ রুপি করে কিনছে ভারত সরকার।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্ভাবিত করোনার টিকা ভারতে কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সেরামের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সঙ্গে ভারতের হায়দরাবাদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকারও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুটি টিকারই দুই ডোজ করে নিতে হবে। দুই ডোজ টিকা নেওয়ার মধ্যে ব্যবধান ২৮ দিন।

ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেবে। শুরুতে অগ্রাধিকার পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির কর্মীরা। তারপর অগ্রাধিকার পাবেন ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষসহ অন্য ঝুঁকিগ্রস্ত গোষ্ঠীর সদস্যরা।