রাস্তা ফাঁকা তবুও তৎপর আইন শৃঙ্খলাবাহিনী

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। ফলে ঢাকার রাস্তাগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। অন্যান্য দিন কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে কর্মমুখী মানুষের ভিড় থাকলেও এদিন মহানগরীর রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

রাস্তা ফাঁকা তবুও তৎপর আইন শৃঙ্খলাবাহিনী

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কম ছিল। ফলে ঢাকার রাস্তাগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। অন্যান্য দিন কঠোর লকডাউনের মধ্যেও সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে কর্মমুখী মানুষের ভিড় থাকলেও এদিন মহানগরীর রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।

শুক্রবার লকডাউনের নবম দিনে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম। তবে ভিন্ন চিত্র ছিল সড়কগুলোতে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। শ্যামলী থেকে পল্টন পর্যন্ত এলাকার সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, চেক পোস্ট বসিয়ে চলছে পুলিশের তল্লাশী।

রাজধানীর মালিবাগ রেলক্রসিং এলাকায় পর পর সেনাবাহিনীর দুটি চেক পোস্ট চোখে পড়ে। অন্য দিনের তুলনায় আইনশৃংখলা বাহিনী কেন এতটা তৎপর জানতে চাইলে টহলে থাকা এক সেনাকর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, লকডাউনে প্রতিদিনই সেনাবাহিনী তৎপর ছিল। তবে আজ যেহেতু শুক্রবার ছুটির দিন তাই অনেকেই বিনা কারণে বাসা থেকে বের হতে চাইবে, সেজন্য আজ টহল কিছুটা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া জনগনকে আমরা সচেতন করার চেষ্টা করছি যেন বিনা কারণে কেউ বের না হয় এবং অবশ্যই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার যেন ব্যবহার করে।

কাকরাইল, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহন না থাকায় সড়কে মানুষও অনেক কম। 

তবে সড়কে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলতে দেখা গেছে। শুক্রবার হওয়ায় বাজারগুলোতে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রাস্তায় মানুষ কম থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় রিক্সার সংখ্যাও কিছুটা কম ছিল। প্রধান সড়কে কম থাকলেও ছুটির দিন হওয়ায় আবাসিক এলাকাগুলোতে মানুষের চাপ বেশি ছিল। 

খিলগাঁও থেকে পুরান ঢাকা যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারেক নামের একযাত্রী। তিনি বলেন গেল কয়েকদিন অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে লকডাউন। সড়কে রিক্সা ও ব্যক্তিগত যানবাহন ছিল অনেক বেশী। কিন্তু আজ শুক্রবার হওয়ায় সড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। তাই যানবাহনের সংখ্যাও কম। অন্যদিন সহজে রিক্সা পেলেও আজ ৩০মিনিট যাবৎ অপেক্ষা করেও কোন রিক্সা পাচ্ছিনা।

রিক্সা চালক আলআমিন জানান, মানুষ কম থাকায় কোন ট্রিপ পাচ্ছিনা। অন্য দিন সকাল ১০টার মধ্যে যেখানে ৪শ থেকে ৫শ টাকার ভাড়া হয়ে যায় আজ সেখানে মাত্র ২শ টাকা পেয়েছি।

শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ার কারণে মানুষের উপস্থিতি তেমন একটা না থাকায় বেশীরভাগ সড়কই ফাঁকা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি।