রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড : মারা যাওয়া ৪৮ জনের ৩১ জন নারী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৮ জনের ১৭ জন পুরুষ ও ৩১ জন নারী। লাশগুলো থেকে ডিএনএ স্যাম্পল গ্রহণের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড : মারা যাওয়া ৪৮ জনের ৩১ জন নারী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় সজীব গ্রুপের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৮ জনের ১৭ জন পুরুষ ও ৩১ জন নারী। লাশগুলো থেকে ডিএনএ স্যাম্পল গ্রহণের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে, এদের মধ্যে কারো লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এজন্য পরিচয় নিশ্চিত হতে স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ৪৫ লাশের বিপরীতে ৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহের পর সোমবার সিআইডি কার্যালয়ে তিনটি লাশের জন্য আরও পাঁচজন নমুনা দিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে ৪৮টি বডিব্যাগে ভরে লাশ আনা হয় মর্গে। এদের মধ্যে একটি বডিব্যাগে দুই খণ্ড লাশ ভরানো ছিল। লাশের দুই খণ্ডের হিসাব ধরে ওই সময় ৪৯টি লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে লাশের দুই খণ্ড পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয় যে একই লাশের দুই খণ্ড। এ কারণে পরবর্তীতে লাশের সংখ্যা জানানো হয় ৪৮।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গের সামনে থেকে নমুনা সংগ্রহের বুথ উঠিয়ে নেওয়া হয়। তখন পর্যন্ত ৪৫টি লাশের বিপরীতে ৬৩ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। নতুন কেউ নমুনা দিতে চাইলে সিআইডি কার্যালয়ে আসার অনুরোধ করা হয়েছিল। সোমবার তিনটি লাশের জন্য আরও পাঁচজন নমুনা দিয়েছেন। এ নিয়ে ৪৮ লাশের বিপরীতে ৬৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হলো।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জানান, নতুন আর কেউ নমুনা দিতে চাইলে সেটি নেওয়া হবে। এজন্য কষ্ট করে সিআইডি কার্যালয়ে এসে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনার প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গত ৯ জুলাই সকালে ওই ভবনের চারতলা থেকে ৪৯ জনের অঙ্গার হওয়া লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস। সে হিসেবে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। কিন্তু লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর সিআইডি জানায়, ৪৯ নয় ঢামেক মর্গে ৪৮টি লাশ ছিল। সে হিসেবে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫১ জন।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস