রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার তাগিদ : জাপানী রাষ্ট্রদূত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন দেশকে যার যার অবস্থান থেকে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার তাগিদ : জাপানী রাষ্ট্রদূত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন দেশকে যার যার অবস্থান থেকে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’

আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি পান্থ রহমান ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দীন বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমারে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি একটু কঠিন হয়ে গেছে। প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ জরুরি। সত্যি বলতে সহসা প্রত্যাবাসন করতে পারা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন দেশকে যার যার অবস্থান থেকে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।’

প্রত্যাবাসনে জাপানের ভূমিকা নিয়ে নাওকি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন শুরু করা খুব জরুরি। জাপান প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। জাপান সবদিক থেকে চেষ্টা করছে কীভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়। জাপান অব্যাহতভাবে এটা তুলছে এবং চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে হবে।’  
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে জাপান সরাসরি যোগাযোগ করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রত্যাবাসন বা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একেক দেশ একেকভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, আবার কেউ অন্যভাবেও অবদান রাখতে পারে। জাপান সরাসরি যোগাযোগ করছে। জাপান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে যাচ্ছে।’

ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রমে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর সফল হবে। জাপান মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে। জাতিসংঘ ও ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করবে।’

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও সেই প্রত্যাবাসন আজও শুরু হয়নি।