শিমুলিয়া ঘাট হঠাৎ যাত্রী ও পণ্যবাহী যানের চাপ

হঠাৎ করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঈদের আগে লকডাউন শেষ হবে না- এ আশঙ্কায় রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ছুটছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

শিমুলিয়া ঘাট হঠাৎ যাত্রী ও পণ্যবাহী যানের চাপ

হঠাৎ করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঈদের আগে লকডাউন শেষ হবে না- এ আশঙ্কায় রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ছুটছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মানুষের চাপ দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার থেকে বুধবার তিনদিন শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো ফাঁকা পড়েছিল। তিনটির জায়গায় একটি ফেরিঘাট চালু ছিল। যাত্রী ও যানবাহনের চাপের কারণে তিনটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। এ কয়দিন যানবাহনের অপেক্ষায় ছিল ফেরি। কিন্তু ভোর থেকে ঢাকা থেকে যাত্রীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে করে ঘাটে আসছেন। 

শিমুলিয়া ঘাট ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাসেল মোশাররফ জানান, প্রায় তিনদিন পার্কিং ইয়ার্ডগুলো ফাঁকা ছিল। আজ খুব ভোর থেকে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ঘাটে এখন ছোট-বড় দুই শতাধিক যানবাহন পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। 

শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঢাকা থেকে আসা পটুয়াখালীগামী যুবক খালেদ ইমরান রিপন (৩২) জানান, খুব ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে করে রওনা দিয়ে ঘাটে এসেছি। কিন্তু অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভেবেছিলাম এক সপ্তাহ লকডাউন থাকবে। আজ থেকে দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ায় ঢাকায় থাকা-খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঈদের আগেও লকডাউন খুলবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই গ্রামে ফিরে যাচ্ছি।