সন্তানকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে খুন, গ্রেপ্তার ৬

মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে খুন হন অটোরিকশা চালক আলমগীর হোসেন ওরফে আলী। এ ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক জনকে দুদিনের রিমান্ড ও দুজনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

সন্তানকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে খুন, গ্রেপ্তার ৬

মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিয়ে ফেরার পথে খুন হন অটোরিকশা চালক আলমগীর হোসেন ওরফে আলী। এ ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক জনকে দুদিনের রিমান্ড ও দুজনকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

গত ৩০ জুন আদাবর থানাধীন ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধ এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হন আলমগীর হোসেন। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় তার স্ত্রী মোছা. শাহনাজ বেগম পরদিন মঙ্গলবার আদাবর থানায় আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার এসআই অপূর্ব কুমার বর্মন।

আসামিদের মধ্যে সাগর, রনি ও রাজন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এছাড়া লিটন, মুন্না ও আব্দুল্লাহর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল সাগরের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে রনি ও রাজন পরবর্তীতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে একই আদালত তাদেরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

লিটনের দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মুন্না ও আব্দুল্লাহ কিশোর হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাদের রিমান্ড বিষয়ে শুনানি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার প্রধান আসামি আলমগীর ওরফে ছোট আলমগীর ওরফে টমেটো আলমগীরের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন বিষয়ে বেশ কিছু দিন আগ থেকে ভিকটিম আলমগীরের বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩০ জুন আলমগীর হোসেন তার বড় ছেলে শাহিন আলমকে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিংয়ের ৭ নম্বর রোডের রশিদিয়া মাদ্রাসায় খাবার দিতে যান। খাবার দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফেরার পথে আদাবর থানাধীন ঢাকা উদ্যান বেড়িবাঁধ সংলগ্ন উড়াল পাখি ট্যাম্পু স্ট্যান্ডে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আলমগীরসহ অন্য আসামিরা তার গতিরোধ করে।

আলমগীরকে কিলঘুষি মারে এবং টেনে হিঁচড়ে সিএনজি থেকে নামানোর চেষ্টা করে। সিএনজি থেকে নামাতে না পেরে টমেটো আলমগীর ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে। আলমগীর ডাক-চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান আলমগীর।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস