মাকে ডাবের পানি খাওয়ানো নিয়ে দ্বন্ধ, বড় ভাই খুন

অসুস্থ মা ডাবের পানি খেতে চেয়েছিলেন। ছোট ছেলে শামস শের ইসলাম পিয়াস যাচ্ছিলেন তা আনতে। এ নিয়ে সৎ বড় ভাই শামস তাবরেজ বিপ্লবের সঙ্গে তা কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাইয়ের হাতে কাঁচির আঘাতে খুন হন বড় ভাই। এ ঘটনায় ছোট ভাইকে একমাত্র আসামি করে ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন সৎ বোন সানিয়া ইসলাম সিগ্ধা। মামলা দায়েরের পর পিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাকে ডাবের পানি খাওয়ানো নিয়ে দ্বন্ধ, বড় ভাই খুন

অসুস্থ মা ডাবের পানি খেতে চেয়েছিলেন। ছোট ছেলে শামস শের ইসলাম পিয়াস যাচ্ছিলেন তা আনতে। এ নিয়ে সৎ বড় ভাই শামস তাবরেজ বিপ্লবের সঙ্গে তা কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাইয়ের হাতে কাঁচির আঘাতে খুন হন বড় ভাই। এ ঘটনায় ছোট ভাইকে একমাত্র আসামি করে ৬ জুলাই ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন সৎ বোন সানিয়া ইসলাম সিগ্ধা। মামলা দায়েরের পর পিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই জহির হোসেন আসামি পিয়াসকে আদালতে হাজির করেন। পিয়াস স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই দুই ভাই মাকে নিয়ে ওয়ারীর যোগীনগর এলাকায় বাস করেন। গত ২ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটার দিকে মা আনোয়ারা ইসলাম এবং দুই ছেলে শামস তাবরেজ বিপ্লব ও শামস শের ইসলাম পিয়াসকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে বসে ছিলেন। আনোয়ারা ইসলাম শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় পিয়াসের কাছে ডাবের পানি চান। পিয়াস পানি দিতে গেলে বড় ভাই বিপ্লবের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বড় ভাই বিপ্লব ছোট ভাই পিয়াসকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় মারেন। পরবর্তীতে পিয়াস ড্রইং রুম থেকে কাঁচি এনে বিপ্লবের মাথায় ও কানের গোড়ায় আঘাত করেন। এর ফলে বিপ্লব মেঝেতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে মা তাকে রামপুরা বেটারলাইভ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জুলাই ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান বিপ্লব।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস