স্বামীর লাশ ঘরে রেখেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত স্ত্রী
স্বামীর লাশ ঘরে রেখে দুই সন্তানের জননী অষ্টমী বাউরী (২৭) প্রেমিক সেলিম মিয়ার (৩২) সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন। এসময় স্থানীরা তাদের হাতেনাতে আটক করে। ঘরে গিয়ে অষ্টমী বাউরীর স্বামীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বুধবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩ টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের নতুন লাইনের জিলপাড়া নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অসামাজিক কাজে লিপ্ত, বিষয়টি ভাসুর দয়াল বাউরী ও স্থানীয়রা বুঝতে পেরে রাত ৩ টায় বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি মনুরঞ্জন পালকে অবহিত করে। এলাকাবাসী তাদেরকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অবস্থায় ঘর থেকে আটক করে। এসময় ঘরে থাকা স্বামী বিজয় বাউরীকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে চা বাগানের ডাক্তার দিয়ে পরিক্ষা করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ঘরে রেখে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়া প্রেমিক যুগলদের বিচারের পঞ্চায়েতে নেয়া হয়।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ি বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি মনুরঞ্জন পাল জানান, বুধবার দিবাগত রাত ৩ টায় পরকীয়ায় আসক্ত অষ্টমী বাউরী ও প্রেমিক সেলিম মিয়াকে ভাসুর দয়াল বাউরী সহ স্হানীয় জনসাধারণ আটক করে এবং স্বামী জ্ঞানহীন অবস্থার পড়ে থাকার বিষয়টি আমাকে জানালে আমি বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোর ৬ টায় বাগানে কর্তব্যরত ডাক্তার নিয়ে পরীক্ষা করলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। তারপর আমরা পুলিশে খবর দেই।
স্হানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সেলিম মিয়া বেশ কয়েক বছর আগেও সন্টু বাউরীর স্ত্রী বিষকার সাথে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল, সামাজিক মিমাংসায় অভিযুক্ত সেলিম মিয়া বেঁচে গেলেও বিষকার স্বামী সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়।
কমলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রেমিক ঐ মহিলার ঘরে রাতে ঢুকে পরবর্তীতে এলাকার লোকজন দুইজনকে আটক করে বেঁধে রাখে। মহিলার স্বামী বিজয় বাউরী রাতে জাগনা ছিল পরে ঘুমিয়ে পড়লে স্থানীয়রা গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক রিপোর্টে মরদেহের কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রকৌশলনিউজ/সু