সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ শুরু

মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ শুরু করেছে সরকার।

সরকারিভাবে চাল সংগ্রহ শুরু

মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৩৯ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ শুরু করেছে সরকার।

শনিবার (৮ মে) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ‘সারা দেশে বোরো চাল সংগ্রহ-২০২১’এর উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন, দেশের প্রতিটি বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং মিল মালিক প্রতিনিধিরা।

মন্ত্রী বলেন, গত ২৮ এপ্রিল থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা করা শুরু হয়। ছয়টি বিভাগের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও মিল মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনলাইনে সভা করেছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বোরো সংগ্রহ সম্পর্কে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোন মাসে কী পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে তার একটা পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তির জন্য নীতিমালা অনুযায়ী বিভাজন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৯ মে) চুক্তির শেষ দিন; কোনোভাবেই চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সংগ্রহ অভিযান চলাকালে কৃষকরা সরাসরি গুদামে গিয়ে ধান বিক্রি করছেন। চাল সরবরাহের জন্য মিলাররা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। গুদামে ধান দেয়ার সময় কৃষককে যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি। কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে বলেন মন্ত্রী।

খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পরস্পর পরস্পরের সাথে মিলেমিশে, ভালো আচরণ করার মাধ্যমে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিত্যনতুন উদ্যোগ নিয়ে চলমান বোরো সংগ্রহ শতভাগ সফল করার আহ্বান জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘বর্তমান সময়ে করোনার সঙ্গে আমরা যেমন যুদ্ধ করছি; তেমনি করোনাপরবর্তী খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করার জন্যও আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই এবং কোনোভাবেই পুরাতন চাল দেয়া যাবে না। এবারের বোরো ধানের চাল দিতে হবে।’

প্রকৌশল নিউজ/সু